ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) ইমামের পিছনে দাড়ানোটাই নিয়তের স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং পৃথকভাবে নিয়ত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। হ্যা, অন্তরের নিয়তের সাথে মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে নেয়াটা অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।
(২) কোন ক্রিকেটার বা কোন নায়ক বা নাইকার ভক্ত হওয়া কখনো জায়েয হবে না। যদি ইসলামের ধর্মের তুলনায় তাদের ধর্মকে ভালো ও উত্তম মনে করা হয়, এবং ঐ ব্যক্তি তার ধর্ম হিসেবে যে সমস্ত কাজ করে, যদি কেউ ঐ ব্যক্তির ঐ সমস্ত কাজের অনুসরণ করে তাহলে সে ব্যক্তি অবশ্যই কাফির হয়ে যাবে। নতুবা গোনাহ হলেও কেউ কাফির হবে না।
(৩) করো সামনে হাঁটু গেড়ে বা হাঁটু ভাঁজ করে সম্মান প্রদর্শন করা নাজায়েয ও হারাম। তবে এজন্য ঐ ব্যক্তির ঈমান চলে যাবে না। হ্যা, যদি কেউ নামাযের রুকু সেজদার মত রুকু সেজদা করে, তাহলে ঐ ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে। কেননা এতে আল্লাহর সাথে ভিন্ন কাউকে শরীক করা হয়ে যাচ্ছে। যা হারাম ও শিরক।
(৪) আল্লাহর নাম যেন আপনার সাথে থাকে, একথার অর্থ হল, আল্লাহর সাহায্য যেন আপনার সাথে থাকে, এমন কথা ও মনোভাব দ্বারা ঈমানে কোনো প্রকার সমস্যা আসবে না। হ্যা, ভিন্ন কোনো নিয়ত যেমন আপনার নামের মত আল্লাহর নাম , যেখানে আল্লাহর নাম থাকবে সেখানে আপনারও নাম থাকবে, মনোভাব দ্বারা ঈমান চলে যাবে।
(৫)ভুল করে প্রাণী মেরে থাকলে আপনি আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফার করবেন। আল্লাহ শিরক ব্যতীত সকল প্রকার গোনাহকে ক্ষমা করে দেন।
(৬) স্বার্থপর অর্থ নিজের স্বার্থকে প্রদাণ্য দেওয়া, অন্যকে তোয়ক্কা না করা, বা অন্যকে বিপদে ফেলে নিজে বেচে যাওয়া, এটা চরম পর্যায়ের একটা মারাত্বক গোনাহ। এত্থেকে মুসলামানদেরকে বেচে থাকতে হবে। ইসরামের স্বার্থ রক্ষা করা এবং এর জন্য স্বার্থপর হওয়া জায়েয ।