(০১)
ইস্তেহাজা যুক্ত মহিলার বিধান সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه قَالَ يَحْيَى ابنُ مَعَيْنٍ جَدُّ عَدِىٍّ اسْمُه دِيْنَارٌ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّه قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّىْ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وأَبُوْ دَاوٗدَ
‘আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে, ইয়াহ্ইয়া ইবনু মা‘ঈন বলেন, ‘আদী এর দাদার নাম দীনার, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুসতাহাযা স্ত্রীলোক সম্পর্কে বলেছেন, সে হায়যগ্রস্ত অবস্থা থাকাকালীন সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করবে। অতঃপর মেয়াদ শেষে গোসল করবে এবং প্রত্যেক সলাতের সময় উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে। আর সওম (রোযা) পালন করবে ও সলাত আদায় করবে।
সহীহ : আবূ দাঊদ ২৯৭, তিরমিযী ১২৬, সহীহুল জামি‘ ৬৬৯৮,মিশকাতুল মাসাবিহ ৫৬০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনি চেক করেছেন,সেই ভেজা সাদা বা আঠালো কিছুই না,আবার সাথে সাথে লজ্জাস্থান চেক করে দেখছেন যে কোনো সাদাস্রাব/আঠালো কিছু নেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ভেজাটি সাদা স্রাব নয়।
যদি আপনি পানির কাজ করে থাকেন,তাহলে সেটি পানিই ধরা হবে।
আর যদি পানির কাজ না করে থাকেন,সেক্ষেত্রে সেটিকে পেশাব ধরবেন।
(০২)
ফরজ নামাজের এক রাকাতে বিনা ওযরে কোনো সুরা শুরু করে সেটি বাদ দিয়ে অন্য সুরা শুরু করা বা অন্য আয়াত শুরু করা মাকরুহ।
তবে ওযর বশত হলে কোনো সমস্যা নেই।