আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
closed by
আস সালামু আলাইকুম শায়েখ!

মহিলাদের স্বগৃহ ছাড়া ননদের বাড়ি/বোনের বাড়ি/দূরসম্পর্কীয় আত্মীয়ের বাড়ি রাত্রিবাস এবং গোসলখানায় গোসল করা যাবে? যদি যায় তবে সর্বোচ্চ কতদিন থাকা যাবে?

যদি সেখানের( আত্মীয়ের বাড়ি) গোসলখানা সাধারণ হয় অথাৎ পর্দা দ্বারা ঘেরা না থাকে এবং বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকে, সেখানে তাদের গোসল করা যাবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কিছু হাদীস লক্ষ্য করি,    

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

أَلاَ لاَ يَبِيْتَنَّ رَجُلٌ عِنْدَ امْرَأَةٍ ثَيِّبٍ ، إِلاَّ أَنْ يَكُوْنَ نَاكِحًا أَوْ ذَا مَحْرَمٍ

‘‘জেনে রাখো, কোন ব্যক্তি যেন অন্য কোন বিবাহিত মহিলার ঘরে রাত্রি যাপন না করে। তবে সে ব্যক্তি উক্ত মহিলার স্বামী বা মুহরিম (যার সাথে বিবাহ্ বসা হারাম) হলে তাতে কোন অসুবিধে নেই’’।
(মুসলিম, হাদীস ২১৭১)

আব্দুর রহমান বিন্ ’আমর বিন্ ’আস্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ একদা বানী হাশিম গোত্রের কিছু লোক আসমা বিনতে উমাইস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) এর ঘরে ঢুকলো। ইতিমধ্যে আবু বকর (রা.) ও তাঁর ঘরে ঢুকলেন। আর আসমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ছিলেন তখন আবু বকর (রা.) এর স্ত্রী। আবু বকর (রা.) তাদেরকে ঘরে দেখে অসন্তুষ্ট হলেন। অতঃপর তিনি রাসূল (সা.) কে ব্যাপারটি জানিয়ে বললেন: আমি তো খারাপ কিছুই দেখিনি। যা দেখেছি ভালোই দেখেছি। তখন রাসূল (সা.) বললেন: আল্লাহ্ তা’আলা আসমাকে পবিত্রই রেখেছেন। এরপর রাসূল (সা.) মিম্বারে দাঁড়িয়ে বললেন:

لاَ يَدْخُلَنَّ رَجُلٌ بَعْدَ يَوْمِيْ هَذَا عَلَى مُغِيْبَةٍ إِلاَّ وَمَعَهُ رَجُلٌ أَوِ اثْنَانِ

‘‘আজকের পরে কোন ব্যক্তি যেন স্বামী অনুপস্থিত কোন মহিলার ঘরে প্রবেশ না করে। তবে তার সাথে আরো এক জন পুরুষ অথবা দু’ জন পুরুষ থাকলে কোন অসুবিধে নেই’’।
(মুসলিম, হাদীস ২১৭৩)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সফরের দুরত্বে হলে মহিলাদের জন্য তো মাহরাম পুরুষ ব্যাতিত সফর জায়েজই নেই।
সফরের দুরত্বে না হলে ফিতনার আশংকা না থাকলে জায়েজ আছে।
এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত  কোনো আত্মীয়ের বাসায় থাকার ব্যাপারে বিধান হলো, পূর্ণ পর্দা মানা,  স্বামীর অনুমতি নিয়ে থাকা,মাহরাম কোনো পুরুষ সাথে থাকা বা কোনো মহিলা সাথে থাকা,  গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ না হওয়া,বিনা প্রয়োজনে পর্দার আড়ালে থেকেও কথা না বলা,ফিতনার আশংকা না থাকা ইত্যাদি শর্তে জায়েজ আছে।

উক্ত শর্ত সমূহ পূর্ণ ভাবে মেনে স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে তার দেওয়া সময় অনুযায়ী থাকতে পারবে। 
কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।
,
উল্লেখিত গোসল খানায় গোসল করা জায়েজ নেই।
হ্যাঁ যদি গোসলের শেষ সময় পর্যন্ত সেখানে কাহারো না আসা, না দেখা সম্পর্কে নিশ্চিত  হওয়া যায়,সেক্ষেত্রে অনুমতি আছে।
তবে সেক্ষেত্রেও গোসল না করাই উত্তম।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 203 views
...