আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
১.নামাজের সময়  সাদাস্রাব হয়েছে এমন কিছু বুঝা যায় নি!  কিছুক্ষণ পর সালোয়ার চেঞ্জ করায় সালোয়ারের মাঝের অংশে কিছুটা ভেজা দেখাচ্ছে! সাদা কিছু না শুধু ভেজা!  এখন সেটা কি সাদাস্রাব?  সাদাস্রাব কি পানির মতো হতে পারে? বুঝবো কিভাবে সেটা সাদাস্রাব কিনা আর নামাজ কি আবার পরতে হবে? উক্ত সালোয়ারটি পরে নামাজ পরা যাবে?
২. নামাজে যদি মনে হয় ভিতরে সাদাস্রাব নির্গত হচ্ছে কিন্তু লজ্জাস্থানের ছিদ্র থেকে বের হয় নি এমতাবস্থায় ও কি ওজু- নামাজ  ভেঙে যাবে? মানে বাইরে বের হয়ে আসে নি দেখা যায় না, ছিদ্রের ভিতরে বা ছিদ্রের সামান্য ভিতরের আশেপাশে  রয়ে গেছে যা টিস্যু দিয়ে সামান্য ভিতরে প্রেস করে আনতে হবে!


জাযাকিল্লাহ খাইর!

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সাদা স্রাব কাপড়ের সাথে লেগে যাওয়ার পর চোখ দিয়ে দেখতে পানির মতোই লাগে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর্কতামূলক আপনি সেটাকে সাদা স্রাব ধরবেন।
এখন আপনি যেহেতু নিশ্চিত নন যে এটি নামাজের পরে বের হয়েছে?
নাকি নামাজের আগে?
সেক্ষেত্রে আপনার জন্য করনীয় হলো সালোয়ারের মাঝের অংশে কিছুটা ভেজা দেখাচ্ছে,এটি যদি এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত নামাজ আর আদায় করতে হবেনা।
আর যদি এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে পবিত্রতা অর্জন করে পুনরায় নামাজ আদায় করবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

فلما ذكره صاحب الأسرار عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء وروي عن عمر أيضا أنه قدره بظفره(عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء،  باب غسل الدم، رقم الحديث-227،3/140

হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ নির্ধারণ করেছেন  নখ পরিমাণ। {উমদাতুল কারী-৩/১৪০, আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ-১০১}

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
যদি তাহা লজ্জাস্থানের ছিদ্র থেকে বের না হয়,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,তাহলে কোনো  সমস্যা নেই।
নামাজ ও অযুর কোনো সমস্যা হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 244 views
0 votes
1 answer 247 views
...