আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
১. ওজু করার সময় সব সময় যদি মনে হয় একটু পর পর গ্যাস আউট হচ্ছে!  গ্যাস আউট সবসময়  সাইলেন্টলি হয়, আর কোনো ব্যাড স্মেল কখনোই না হওয়ায় ওজুতে সত্যিই  হচ্ছে কিনা বুঝা যায় না তাই  অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওজুতে অনেক সময় লাগে আর পানিও খরচ হয় বেশি! সারাদিন নরমাল ই হয় কিন্তু ওজুতেই কেমন যেন মনে হয় যে গ্যাস আউট হচ্ছে!
সন্দেহ কে পাত্তা দেয়া যাবে না জানি কিন্তু যদি ওজু করার সময়  সত্যিই গ্যাস আউট হয় আর সেটা সন্দেহ ভেবে ওজু কন্টিনিউ করা হয়, সেই ওজুতে নামাজ, তিলাওয়াত, ইবাদাত করা হয় তা আদায় হবে?  প্রবল সন্দেহ নিয়েও ওজু হচ্ছে বা আছে মনে করা যায়?  প্রতি ওজুতেই এমন সমস্যা হয়!
২. ওজু করার সময় যদি সত্যি সত্যি একটু পর পর গ্যাস আউট হয় যার জন্য ওজু কমপ্লিট করতে ১৫/২০ মিনিটের মতো সময় লাগে তখন করনিয় কি?  কিছু নামাজের সময় কম থস্কে তখন সমস্যা হয়, ওজু করতে করতে নামাজের সময় শেষ হওয়ার সময় হয়ে যায়!  ১৫/২০ মিনিট পর কমপ্লিটলি করা যায়, এতক্ষণে পানি আর সময় যে খরচ হয় তা কি অপচয় হয়??
উল্লেখ্য সবসময় এমন হয় না, কিন্তু প্রায় মাঝে মাঝে এমন হয়! মাঝে মাঝে এমন হলে কি উক্ত গ্যাস আউট হওয়া নিয়েই ওজু করে নামাজ পরা লাগবে? এতে তো ওজু ছাড়া নামাজ হয় এক ধরনের!
৩. বিতর নামাযে ২ রাকাআতে আত্তাহিয়াতু পরার পর ভুলে দুরুদ শরিফ অনেক খানি পরে ফেললে তার পর আবার ৩য় রাকাআতের জন্য উঠা হয়েছে এবং শেষে সিজদাহ্ এ সাহু দেয়া হয়েছে !  এটা ঠিক আছে নাকি সিজদাহ্ সাহু না দিলেও হতো?  আর সিজদাহ্ সাহু দেয়ায় যদি ভুল হয় তাহলে কি কাজা পরে নিতে হবে আবার?!
জাযাকিল্লাহ খাইর!

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)https://www.ifatwa.info/3925 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।হাদীসটি এই,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-২৯৩

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি পবিত্রই থাকবেন,যতক্ষণ না বায়ূর আওয়াজ শুনছেন বা এর দুর্গন্ধ নাকে আসছে। শুধুমাত্র সন্দেহ হওয়ার দরুণ আপনার অজুতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। 

(২)আপনি এক কাজ করবেন। একটু কষ্টকরে নামাযের সবচেঁয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াক্ত আছর কিংবা ফজরের ওয়াক্তে পরীক্ষা করবেন যে, এই সংক্ষিপ্ত ওয়াক্তে আপনি ধারাবাহিক তরল পদার্থ নির্গত হওয়া ব্যতীত কি ফরয দু'রাকাত বা চার রা'কাত নামায পড়তে পারছেন। যদি আপনি তরল পদার্থ  নির্গত হওয়া ব্যতীত ফরয আদায় করতে না পারেন, তাহলে আপনাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে। আর যদি আপনি নামায পড়ে নিতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনাকে মা'যুর গণ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে নামায পড়তে হবে। এভাবে যে,যখনই মনে তরল পদার্থ নির্গত হওয়ার সন্দেহ জাগবে,তখন আপনি টিস্যু বা কাপড় ইত্যাদিকে দেখবেন যে,সত্যিই কি তরল পদার্থ নির্গত হচ্ছে? যদি নির্গত হয়,তাহলে আপনি অজু করে এসে আবার নামায পড়ে নিবেন।

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে, বায়ু উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর হচ্ছে না, তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন। তখন প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অজুই যথেষ্ট হবে।। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

(৩) আপনার বর্ণনামতে সাহু সিজদা ওয়াজিব। সুতরাং সাহু সিজাদ দিলে আপনার নামায হবে। নতুবা আপনার নামাযই হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 158 views
0 votes
1 answer 196 views
...