উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো মুখে স্পষ্ট শব্দে কোন কিছু না বললে, এর দ্বারা কোন শরয়ী বিধান প্রযোজ্য হবে না। মনে মনে কোনো কিছু বললে কোনো হুকুম আরোপ করা হয়না।
তাই নামাজের ভিতর মনে মনে দোয়া করলেও নামাজ হয়ে যাবে।
,
তবে যেহেতু নামাজের ভিতর মনকে একনিষ্ঠতার সহিত নামাজের ভিতরে রাখা জরুরি , তাই মনে মনে দোয়া করলে সেই একনিষ্ঠতার ভাব আর থাকেনা।
তাই মনে মনে দোয়া না করাই উচিত।
,
সাথে সাথে আরো একটি বিষয় স্পষ্ট করছি,সেটা হলো নামাজের ভিতর এমন দোয়া করা নিষেধ,যেটা আল্লাহ তায়ালা ছাড়াও অন্য কাহারো থেকে চেয়ে পাওয়া সম্ভব।
(যেমন হে আল্লাহ আমাকে কাপড় দাও,আমাকে অমুক মহিলার সাথে বিবাহ করে দাও।)
তাই যদিও মনে মনে দোয়া করলে কোনো হুকুম আরোপ হবেনা,তবে এহেন দোয়া করলে কিছুটা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে।
তাই সতর্কতামূলক এমন দোয়া না করাই উচিত।
عن معاویۃ بن الحکم السلمي في حدیث طویل: ثم ۔قال النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم: إن ہٰذہ الصلاۃ لا یصلح فیہا شيء من کلام الناس، إنما ہو التسبیح والتکبیر وقراء ۃ القراٰن۔ (صحیح مسلم ۱؍۲۰۳ رقم: ۵۳۷)
অর্থাৎ নামাজের ভিতর মানুষের সাথে যেমন বাক্যে কথা বলা হয়,তেমন বাক্য বলা উচিত নয়,,,,,,,,,
۔
والله أعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ IOM