আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আমার বোন আমাকে ছোটবেলা থেকে অনেক আদর করেন। কিন্তু ওনার চারিত্রিক কিছুটা ত্রুটি আছে(যেমনঃ গরীবদের হেয় করা, হিংসা করা, গীবত করা, জেদী)। এসব কারণে তার প্রতি এক ধরনের বিরক্ত কাজ করে।

আমার প্রশ্নটা হচ্ছে তার প্রতি আমার প্রতিক্রিয়া বা ব্যবহারটা কেমন হওয়া উচিত?

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


এক্ষেত্রে জরুরি হলো তাদের সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখে  
হিকমত, সদুপদেশ ও নম্রতার সাথে তাকে বুঝানো।
তার সাথে যদি সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়,তাহলে তাকে কে বুঝাবে?

তাকে দূরে সড়িয়ে দিলে এ পথ থেকে ফিরানো সম্ভব নয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ

‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি, মানব জাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে ও অসৎ কাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে, আর যদি গ্রন্থ প্রাপ্তরা বিশ্বাস স্থাপন করত তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য মঙ্গল হত। তাদের মধ্যে কেহ কেহ মুমিন এবং তাদের অধিকাংশই দুষ্কার্যকারী’ (আলে ইমরান ৩/১১০)।

আরো জানুনঃ

সুতরাং তাকে মনে করিয়ে দিন হিংসার ক্ষতিকর দিকগুলো। 

যেমন, নবীজি ﷺ বলেছেন, 

إِيّاكُمْ وَالْحَسَدَ فَإِنّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النّارُ الْحَطَبَ أَوْ قَالَ الْعُشْبَ.
তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থেকো। কারণ হিংসা নেক আমলসমূহকে গ্রাস করে নেয়, যেভাবে আগুন গ্রাস করে লাকড়ি (অথবা ঘাস)। (আবু দাউদ ৪৯০৫)

মনকে হিংসামুক্ত রাখার জন্যে প্রিয় নবীজী ﷺ উম্মতকে এই দোয়াটিও শিক্ষা দিয়েছেন,

رَبِّ تَقَبّلْ تَوْبَتِى وَاغْسِلْ حَوْبَتِى وَأَجِبْ دَعْوَتِى وَثَبِّتْ حُجّتِى وَاهْدِ قَلْبِى وَسَدِّدْ لِسَانِى وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ قَلْبِى

প্রভু আমার! আপনি আমার তওবা কবুল করুন, আমার পাপরাশি ধুয়ে দিন, আমার ডাকে সাড়া দিন, আমার দলিল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করুন, আমার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার যবানকে সঠিক রাখুন আর আপনি আমার অন্তরের যাবতীয় কলুষতা দূর করে দিন। (আবু দাউদ ১৫১২)

হাদিস শরিফে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু ওমর রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেছেন, 

لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِي اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ الْقُرْآنَ فَهُوَ يَقُومُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ مَالاً فَهُوَ يُنْفِقُهُ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ
দু’টি ব্যাপার ছাড়া হিংসা পোষণ করা যায় না। একটি হল, এমন ব্যক্তি যাকে মহান আল্লাহ কুরআনের ইলম দান করেছেন। সে তদনুযায়ী রাত-দিন আমল করে। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তা’আলা অর্থ-সম্পদ দান করেছেন। সে রাত-দিন তা (আল্লাহর পথে) খরচ করে। (এ দু’ ব্যক্তির সাথে হিংসা পোষণ করা যায়। (বুখারী ৩৭৩৭ মুসলিম ৮১৫)
,
★প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত বই তাকে গিফট করতে পারেন।
হক্কানী শায়েখদের ওয়াজ এর রেকর্ড শুনাতে পারেন।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...