আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
209 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহ
হজরত, পশ্চিমা স্কলার যেমন নোমান আলি খান, ইয়াসির ক্বাদি,ওমার সুলাইমান উনাদের কি ফলো করা যাবে?

আমাদের দেশে বিশেষ করে নোমান আলি খান এর আকিদা নিয়ে সমস্যা এই বিষয়ক অনেক কিছু শুনা যায়।

হজরত, সহিহ টা জানতে চাই।আর উনাদের ফলো করা না গেলে কেনো যাবে না  আর তাদের আকিদায় কি সমস্যা  এইটার ব্যাখ্যা দিয়েন দয়করে।কেননা অনেকে আবার যুক্তি খুঁজে কেনো ফলো করবোনা?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে এই হাদীস লক্ষ্যণীয়।

হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কাউকে ফলো করার পূর্বে দেখতে হবে উনি কোন মাযহাবকে ফলো করে থাকেন।যদি উনি হানাফি মাযহাবকে ফলো করেন,তাহলে হানাফিরা উনাকে ফলো করতে পারে।আর যদি ভিন্ন কোনো মাযহাবের হয়ে থাকেন,তাহলে ভিন্ন মাযহাবের অনুসারীরা তাকে গ্রহণ করে নিতে পারে।

ফিকহ এবং আকিদা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির মাযহাব লক্ষ্য করা চাই।আপনার বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সম্ভবত গায়রে মুকাল্লিদ হবেন।তারা কোনো মাযহাবকে ফলো করেন না।সুতরাং আপনার জন্য ঐ সমস্ত ব্যক্তিবর্গের আকিদা গ্রহণ করা বা তাদের বর্ণিত মাসাঈলে বিশ্বাস করা জায়েয হবে না।

হ্যা,আপনি তাদের দাওয়া বিষয়ক আলোচনাকে গ্রহণ করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...