আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
যদি এমন না করতাম তাহলে এমন হতো না ।
আমি কম পড়েছি বলে পরীক্ষা খারাপ দিয়েছি। এখন এমন বলা কি তাহলে যাবে না যে যদি ভালো করে পড়তাম?

আবার, যেমন কারো এলার্জির সমস্যা, সে যদি বলে, যদি আমি গরুর গোশত না খেতাম?

এমন কথা কি বলা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَكُونُوا كَالَّذِينَ كَفَرُوا وَقَالُوا لإخْوَانِهِمْ إِذَا ضَرَبُوا فِي الأرْضِ أَوْ كَانُوا غُزًّى لَوْ كَانُوا عِنْدَنَا مَا مَاتُوا وَمَا قُتِلُوا لِيَجْعَلَ اللهُ ذَلِكَ حَسْرَةً فِي قُلُوبِهِمْ وَاللهُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ -

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা কাফের হয়েছে এবং নিজেদের ভাই-বন্ধুরা যখন কোন অভিযানে বের হয় কিংবা জেহাদে যায়, তখন তাদের সম্পর্কে বলে, তারা যদি আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে তারা মারা যেতনা, আহতও হতনা। যাতে তারা এ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মনে অনুতাপ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ আল্লাহ্ই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। তোমরা যা কিছুই কর না কেন, আল্লাহ্ সবকিছুই দেখেন।’’। (সূরা আল-ইমরান-৩:১৫৬)

‘যদি’ কথাটি শয়তানের কাজকে সহজ করে দেয়। অর্থাৎ তোমার কাছে দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা ও বিষণ্ণতা চলে আসে। এতে তোমার ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না। তুমি জেনে রেখো যে, তুমি যা অর্জন করেছ, তা হারানোর ছিল না। আর যা তুমি অর্জন করতে পার নি, তা তোমার পাওয়ার ছিল না। 

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ

مَا أَصَابَ مِنْ مُصِيبَةٍ إِلا بِإِذْنِ اللهِ وَمَنْ يُؤْمِنْ بِاللهِ يَهْدِ قَلْبَهُ وَاللهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ-

আল্লাহর নির্দেশ ব্যতীত কোন বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎ পথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ্ সববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত। (সূরা তাগাবুন-৬৪:১১) 

আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমগণ বলেনঃ সেই প্রকৃত মুমিন, যে বিপদে আক্রান্ত হওয়ার সময় বিশ্বাস করে, উহা আল্লাহর পক্ষ হতেই। অতঃপর সে তাতে সন্তুষ্ট থাকে এবং তাকদীরের লিখন মেনে নেয়। 

অতীতে হাত ছাড়া হয়েছে এমন জিনিসের জন্য বিষণ্ণ , চিন্তিত ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে কিংবা অতীতে সংঘটিত কোন দুর্ঘটনার জন্য আফসোস করে এবং তাকদীরের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে লাও لو শব্দটি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। যেমন কেউ বললঃ আমি যদি এমন করতাম তাহলে এমন হত, এমন না করলে এমন হতনা, সেখানে না গেলে আমি দুর্ঘটনার কবলে পড়তাম না ইত্যাদি। এ ধরণের কথা বলতে নাবী সাঃ) নিষেধ করেছেন। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ وَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَلاَ تَعْجِزْ فَإِنْ أَصَابَكَ شَىْءٌ فَلاَ تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَذَا وَكَذَا . وَلَكِنْ قُلْ قَدَّرَ اللَّهُ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ " لَوْ " تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিনের চাইতে উত্তম এবং আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয়। অবশ্য উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে। তুমি তোমার জন্য উপকারী জিনিসের আকাঙ্ক্ষা করো এবং আল্লাহ্র সাহায্য চাও এবং কখনও অক্ষমতা প্রকাশ করো না। তোমার কোন ক্ষতি হলে বলো না, যদি আমি এভাবে করতাম, বরং তুমি বল, আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন এবং তিনি যা চান তাই করেন। কেননা লাও (যদি) শব্দটি শয়তানের তৎপরতার দ্বার খুলে দেয়।
(মুসলিম ২৬৬৪, আহমাদ ৮৫৭৩, ৮৬১১,ইবনে মাজাহ ৭৯)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য বলার শরীয়তে কোনো অনুমোদন নেই।    
বলা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...