আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
360 views
in সালাত(Prayer) by (0 points)
শেষ রাকাতের রুকু শেষ,সেজদায় চলে গেছে এমন অবস্থায় যদি জামাত এ যোগ দেই,তাহলে এটা কি জামায়াত এ শরিক হওয়া হবে কিনা?জুমার নামাযে যদি শেষ রাকাতের সিজদার সময় যোগ দেই তাহলে কি আমি যোহরের নিয়ত করে আলাদা নামায শুরু করব?নাকি যোহরের নিয়ত করে অবশিষ্ট জামাতে যোগ দিব?নাকি জুমার নিয়তে জামাতে যোগ দিব?

1 Answer

0 votes
by (660 points)

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

উত্তর-

কোন ব্যক্তি যদি রুকুর পূর্বে জামাতে শরিক হয় তাহলে সে উক্ত রাকাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। চাই তা যে রাকাতই হোক না কেন। সকল ইমাম এ ব্যাপারে একমত। আর যদি সে রুকু না পায় তাহলে উক্ত রাকাত সে পায়নি বলে ধরে নেয়া হবে। তবে অবশ্যই সে জামাতের সওয়াব প্রাপ্ত হবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৫৯৪, আল মাবসুত লিস সারাখসী : ৩০/২৮৭, আলবিনায়া : ২/৩১৪)

হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে হযরত আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রুকু অবস্থায় জামাতে শরিক হলেন। এবং তিনি দাঁড়ানোর পূর্বে তিনি করলেন। নামাজ শেষে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা তোমার আগ্রহ বাড়িয়ে দিন। তোমাকে তার পুনরাবৃত্তি করতে হবে না।' (সহিহ বুখারী : ৭৮৩)

নবীজী তাকে পুনরাবৃত্তি না করতে বলার মাধ্যমে বুঝা গেল যে, তার এই রাকাতটি পরিপূর্ণ হয়েছে। (আরো দ্রষ্টব্য : মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক : ৩৩৮১, তাবারানী : ৯/২৭১)

জুমার নামাজের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। তা হল মুক্তাদী জুমুয়ার নামাজে ইমামকে সালাম ফেরানোর পূর্বে যে অবস্থায়ই পাক না কেন, সে জুমার নিয়ত করবে এবং ছুটে যাওয়া রাকাত সমূহ আদায় করবে। এক্ষেত্রে যদি সে দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠার পর নামাজে শরিক হয় তাহলে সালাম ফেরানোর পর দুই রাকাত আদায় করার মাধ্যমে নামায পূর্ণ করবে।

হাদীস শরীফে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-

اذا اقيمت الصلاه فلا تاتوها تسعون واتوها تمشون، وعليكم السكينة، فما ادركتم فصلوا وما فاتكم فاتموا،

'যখন নামাজ দাঁড়িয়ে যায় তখন তোমরা ছোটাছুটি করে তাতে শরিক হতে সোনা বরং হেঁটে হেঁটে ধীর-স্থিরভাবে তাতে অংশগ্রহণ করো। তোমরা যতটুকু পাও ততটুকু আদায় করো, যা ছুটে গিয়েছে পরবর্তীতে তা পূর্ণ করো। (সহিহ বুখারী : ৯০৮, সহিহ মুসলিম :১৩৮৯, বাদায়েউস সানায়ে : ৩/৫০, ইনায়া : ২/৪১২)

হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

من ادرك الامام جالسا قبل ان يسلم فقد ادرك الصلاة،

'ইমাম সালাম ফিরানোর পূর্বে বসা অবস্থায় যে তাকে পেল, সে উক্ত নামাজ পেল।' (দারাকুতনী : ১৬০৫, ফাতহুল বারি, ইবনে রজব হাম্বলী : ৩/২৪৮), আল মাবসুত লিস সারাখসী : ২/৬৩)

তবে অন্যান্য মাযহাব মতে, জুমার নামাজের দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে ইমামকে না পেলে উক্ত ব্যক্তি জুমার নামাজ পায়নি বলে ধর্তব্য হবে। সেক্ষেত্রে তাকে জোহরের নামাজের নিয়ত করে ইমাম সালাম ফিরানোর পর চার রাকাত আদায় করতে হবে।

আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।

উত্তর প্রদান

মুফতি মুহাম্মাদ মাহবুবুল হাসান

ফাতওয়া বিভাগ, IOM

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...