আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
405 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by

ক) একটি হাদিস আছে, বেশি ঘুম ধরলে নামায না পড়া উচিত। কিছুটা ঘুমিয়ে নামায পড়া উচিত।

কেউ যদি রাতে ঘুম কম হয়েছে বিধায় ফজরের জামাত ছেড়ে দেয় বা বিকালের ঘুমের জন্য আসরের জামাত ছেড়ে দেয়, যাতে সে পরবর্তীতে কাজ ভালো মত করতে পারে,(যেমনঃ পড়াশোনা বা চাকরি ব্যবসা) তাতে কি গুনাহ হবে?

খ) উপরের হাদিসে কি ওয়াক্ত চলে গেলেও নামায ছেড়ে ঘুমানোর কথা বলা হয়েছে? 

গ) কোন বিষয়ে ইখতিলাফ থাকলে কাদেরকে গ্রহণ করবো?  যেদিকা বেশি আলেম সেটা নাকি যেটা নফস এর খায়েশাত মেটাচ্ছে না সেটা। এমনও হতে পারে আমি বেশিরভাগ আলেম যে মত দিয়েছেন সেটাই মনে মনে চাচ্ছিলাম।

ঘ) https://ifatwa.info/15742/
এতে বলেছেন, দাড়ি রাখা যাবে না সেনাবাহিনীতে।
কিন্তু,
https://ifatwa.info/9647/
এতে বলেছেন, সেনাবাহিনীর জন্য দাড়ি কাটা জায়েয।
বুঝলাম না।

ঙ) ক্বারী আব্দুল বাসেত সহ অনেক আলেম দাড়ি রাখেননি। কোন মাযহাব এর উনারা?

চ) অনেক আলেম বলেন, দাড়ি দূর থেকে দেখা গেলেই হবে। এক মুষ্টি থাকা লাগবে না। কোন মাযহাব এর উনারা?

ছ) গোঁফ কি বড় রাখা যাবে না? তাহলে উমার রাঃ গোঁফ বড় করে তাতে 'তা' দিয়ে রাখতেন কেন? জিহাদের জন্য নাকি?

closed

1 Answer

+1 vote
by (588,780 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ এশার নামাযের পরপরই শুয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক তাগিদ দিয়েছেন।এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম বলে থাকেন,বিনা জরুরতে এশার নামাযের পর না শুয়ে গল্পগুজবে লিপ্ত হওয়া মাকরুহ।


https://ifatwa.info/4385  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।(সূরা মুযযাম্মিল-০৬)

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻓَﺘَﻬَﺠَّﺪْ ﺑِﻪِ ﻧَﺎﻓِﻠَﺔً ﻟَّﻚَ ﻋَﺴَﻰ ﺃَﻥ ﻳَﺒْﻌَﺜَﻚَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻣَﻘَﺎﻣًﺎ ﻣَّﺤْﻤُﻮﺩًﺍ
রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন।(সূরা বনি ঈসরাইল-৭৯)

ইমাম কুরতুবী রাহ বলেনঃ
ﻭﺍﻟﺘﻬﺠﺪ ﺍﻟﺘﻴﻘﻆ ﺑﻌﺪ ﺭﻗﺪﺓ،
তাহাজ্জুদ হচ্ছে কিছু ঘুমানোর পর জাগ্রত হওয়া (ও নামাজ পড়া)।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হঠাৎ কখনো ঘুম চলে আসলে এবং নামাযের ওয়াক্ত যথেষ্ট পরিমাণ বাকী থাকলে তখনই মূলত কিছুটা ঘুমিয়ে ক্লান্তি দূর করে,তারপর নামায পড়া উচিৎ।তবে নামাযের ওয়াক্ত যথেষ্ট পরিমাণ বাকী না থাকলে,তখন যেকোনো মূল্যে নামায পড়তে হবে।প্রয়োজনে ঘুমঘুম ভাবকে দূর করে বা দূর করার যথেষ্ট চেষ্টাপ্রচেষ্টা করে তখন নামাযকে পড়তে হবে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃত রাত্রিজাগরণ করে,যেজন্য সে ফজরের নামাযকে পড়তে না পারে,তাহলে এজন্য তার দুই গোনাহ হবে।(১) দেড়ীতে ঘুমানোর গোনাহ (২) এবং ঘুমঘুম ভাব নিয়ে ফজরের নামায পড়ার গোনাহ।

(খ) ওয়াক্ত চলে যাওয়ার অাশংকা থাকলেও যে ঘুমোতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।বরং ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশংকা থাকলে তখন ঘুমানো যাবে না।


(গ)আপনি এক্ষেত্রে যেকোনো একটি মাযহাবকে গ্রহণ করবেন।এটাই আপনার জন্য নিরাপদ।যে মাযহাবকে গ্রহণ করবেন, সেই মাযহাবের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তকৃত মাস'আলার উপরই আ'মল করবেন।

(ঘ)https://ifatwa.info/9647 নং ফাতাওয়ায় আমরা সর্বশেষ রুখসতের আলোচনা করেছি,এবং অপর ফাতাওয়ায় দাড়ির সাধারণ বিধান আলোচনা করা হয়েছে।
 

(ঙ)চার মাযহাব মতে একমুষ্টি পরিমাণ দাড়ি রাখা ওয়াজিব বা সুন্নতে ম'আক্কাদা।যদি কেউ না রাখে, তাহলে এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।

(চ)এরা কোন মাযহাবের জানা নেই।তবে এটা নিশ্চিত যে এরা নিজ প্রবৃত্তির অনুসারীদের মধ্য থেকে একজন।

(ছ)গোঁফকে লম্বা করে রাখা যাবে না।তবে জিহাদের উদ্দেশ্যে রাখা যেতে পারে। জ্বী,হয়তো তিনি জিহাদের উদ্দেশ্যে গোঁফকে লম্বা করে রাখতেন।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://ifatwa.info/1857


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,780 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (22 points)

তাহলে ঘুমের জন্য জামাত ছেড়ে দিলে গুনাহ নাই? পরে একা পড়ে নিলাম? আমি তো জানতাম জামাতে নামায ওয়াজিব বা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ওয়াজিবাত

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...