বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ এশার নামাযের পরপরই শুয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক তাগিদ দিয়েছেন।এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম বলে থাকেন,বিনা জরুরতে এশার নামাযের পর না শুয়ে গল্পগুজবে লিপ্ত হওয়া মাকরুহ।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।(সূরা মুযযাম্মিল-০৬)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻓَﺘَﻬَﺠَّﺪْ ﺑِﻪِ ﻧَﺎﻓِﻠَﺔً ﻟَّﻚَ ﻋَﺴَﻰ ﺃَﻥ ﻳَﺒْﻌَﺜَﻚَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻣَﻘَﺎﻣًﺎ ﻣَّﺤْﻤُﻮﺩًﺍ
রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন।(সূরা বনি ঈসরাইল-৭৯)
ইমাম কুরতুবী রাহ বলেনঃ
ﻭﺍﻟﺘﻬﺠﺪ ﺍﻟﺘﻴﻘﻆ ﺑﻌﺪ ﺭﻗﺪﺓ،
তাহাজ্জুদ হচ্ছে কিছু ঘুমানোর পর জাগ্রত হওয়া (ও নামাজ পড়া)।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হঠাৎ কখনো ঘুম চলে আসলে এবং নামাযের ওয়াক্ত যথেষ্ট পরিমাণ বাকী থাকলে তখনই মূলত কিছুটা ঘুমিয়ে ক্লান্তি দূর করে,তারপর নামায পড়া উচিৎ।তবে নামাযের ওয়াক্ত যথেষ্ট পরিমাণ বাকী না থাকলে,তখন যেকোনো মূল্যে নামায পড়তে হবে।প্রয়োজনে ঘুমঘুম ভাবকে দূর করে বা দূর করার যথেষ্ট চেষ্টাপ্রচেষ্টা করে তখন নামাযকে পড়তে হবে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃত রাত্রিজাগরণ করে,যেজন্য সে ফজরের নামাযকে পড়তে না পারে,তাহলে এজন্য তার দুই গোনাহ হবে।(১) দেড়ীতে ঘুমানোর গোনাহ (২) এবং ঘুমঘুম ভাব নিয়ে ফজরের নামায পড়ার গোনাহ।
(খ) ওয়াক্ত চলে যাওয়ার অাশংকা থাকলেও যে ঘুমোতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।বরং ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশংকা থাকলে তখন ঘুমানো যাবে না।
(গ)আপনি এক্ষেত্রে যেকোনো একটি মাযহাবকে গ্রহণ করবেন।এটাই আপনার জন্য নিরাপদ।যে মাযহাবকে গ্রহণ করবেন, সেই মাযহাবের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তকৃত মাস'আলার উপরই আ'মল করবেন।
(ঘ)
https://ifatwa.info/9647 নং ফাতাওয়ায় আমরা সর্বশেষ রুখসতের আলোচনা করেছি,এবং অপর ফাতাওয়ায় দাড়ির সাধারণ বিধান আলোচনা করা হয়েছে।
(ঙ)চার মাযহাব মতে একমুষ্টি পরিমাণ দাড়ি রাখা ওয়াজিব বা সুন্নতে ম'আক্কাদা।যদি কেউ না রাখে, তাহলে এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
(চ)এরা কোন মাযহাবের জানা নেই।তবে এটা নিশ্চিত যে এরা নিজ প্রবৃত্তির অনুসারীদের মধ্য থেকে একজন।
(ছ)গোঁফকে লম্বা করে রাখা যাবে না।তবে জিহাদের উদ্দেশ্যে রাখা যেতে পারে। জ্বী,হয়তো তিনি জিহাদের উদ্দেশ্যে গোঁফকে লম্বা করে রাখতেন।