আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম,

শায়েখ ওয়ারিশদের সম্পদ বন্টনের একটা বিষয়ে জানতে চাই। আমার দাদা যখন মারা যান তখন তার স্ত্রীসহ, ৪ ছেলে, ৫ মেয়ে সবার ভিতর তাদের প্রাপ্য সম্পদ বন্টন করে দিয়ে যান, এমনকি তার ওয়াকফ করা মসজিদের জন্যও ব্যবস্থা করে যান। তার মৃত্যুর পর আমার দাদী স্বংয় সম্পন্ন হলেও আমার বাবা এবং চাচারাই দেখাশুনা করতেন। আমার বাবা চাচারা সবাই আলহামদুলিল্লাহ কেউ কারো উপরই ডিপেন্ডেড না এবং সবাই স্বয়ংসম্পন্ন ও আলাদা। আমার দাদী জীবিতবস্থায় বড় চাচা মারা যান, এখানে একটা কথা বলার তিনি অনেক দানশীল ছিলেন এবং তার অনেক ছেলেমেয়ে ফলে তিনি জীবদ্দশায় দাদার থেকে পাওয়া সম্পদের বাইরে খুব বেশি কিছু করে যেতে পারেনি। ২০১১ সালে বড় চাচা মারা যান, ২০১৭ তে আমার দাদী মারা যান। দাদীর জীবন্দদশাতেই  আমার সেঝ ফুফা এবং সেঝ চাচা মিলে আমার ফুফুদের সহ  আমার বাবা, মেজ চাচাকে জানান যেহেতু মা বেচে থাকতে তার ছেলে মারা গেছে তাই বড় চাচার সম্পদে মার ভাগ আছে, তাকে এটা নিতে হবে না নিলে নাকি গোনাহগার হবে। তো এই বিষয়টা মীমাংসা করতে করতেই দাদী মারা যান। এখন যেহেতু দাদীর সম্পদের একটা ভাগ পায় বড় চাচার কাছে, এখন দাদী যেহেতু মারা গেছে তাই তার এই ভাগ তার বেচে থাকা সব ছেলে মেয়েদের ভিতর বন্টন করতে হবে, বড় চাচার ওয়ারিশদেরকে এটা দিতে হবে, আর আমাদের এটা নিতে হবে না হলে নাকি কঠিন গোনাহগার হতে হবে। এটা নাকি আলেমদের কাছ থেকে ফতোয়া নিয়েই জেনেছেন।আগেই বলেছি চাচার তেমন সম্পদ ছিলনা তবুও তার ওয়ারিশরা দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু সম্পদ বন্টন একটু জটিল বিষয় আর তাদের ও একটু সময় লাগছে। এমতাবস্থায় ২০১৯ এ মেজ চাচা ও ২০২০ এ আমার বাবা মারা যান। এখন আমার সেঝ চাচা ও ফুফুরা মিলে এই বিষয়টা নিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হ্যারেজ করেই যাচ্ছে, তাদেরকে ভাগ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রেশার দিচ্ছে, যদিও তারা প্রত্যকেই কোটিপতি। এখানে আরও একটা বিষয় আমার বাবা এই সম্পদ নেওয়ার বিষয়ে খুব বেশী রাজি ছিলনা, কিন্তু সবার চাপে পড়ে একসময় নিতে রাজী হয়। কিন্তু আমরা এই বিষয়ে কখনই ইন্টারেস্ট ছিলাম না আর আমার বাবা মারা যাওয়ার পর এটা একদমই বাদ দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের যা দিয়েছেন আমরা এতেই সন্তুস্ট।

কিন্তু আমার সেঝ চাচা এবং ফুফুরা মিলে বড় চাচার ওয়ারিশদের সহ আমাদেরকেও হ্যারাজ করে চলছে, কারন আমরা নিতে চাইনি কেন?
এখন আমার প্রশ্ন হলো এইযে চাচার ভাগের থেকে দাদীর পাওয়া, দাদীর সম্পদ থেকে তার বাকী ছেলে মেয়েদের পাওয়া এটার আসলে শরীয়তের হুকুম কি? আর তাদের কাছ থেকে এই ভাগ নেওয়াটা আসলেই কি খুব জরুরী? মানে তারা যদি না দিতে চায় বা আমরা না নিতে চাই? বর্তমানের এই অবস্থার প্রেক্ষিতে এই সম্পদ নেওয়াটা কি খুব জরুরী?

আফওয়ান শায়েখ, প্রশ্নটা অনেক বড় হয়ে গেল কিন্তু বিস্তারিত না বললে সংক্ষেপে হয়তো বোঝাতে পারতাম না। আমাকে বিষয় টা সব রেফারেন্স সহ একটু বলবেন। এটা নিয়ে খুব ঝামেলা হচ্ছে।

জাঝাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুরা নিসার ১১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾ 

আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচেছন: এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুইয়ের বেশী থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ, আর মাত্র এক কন্য থাকলে তার জন্য অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা জান না । এ বিধান আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বড় চাচার যেহেতু সন্তানেরা আছে,তাই আপনার বড় চাচার সম্পদের ৬ ভাগের এক ভাগ আপনার দাদী পাবে।
তবে তার এটি নেওয়া আবশ্যকীয় নয় যে না নিলে গুনাহগার হবে,এমন কিছুই হয়।    
,
দাদীর সম্পদ থেকে তার বাকী ছেলে মেয়েদের পাওয়া এটার শরীয়তের হুকুম হলো তারাও অধিকারী হবে।
তবে কেহ নিজ ইচ্ছায় না নিতে চাইলে সেটি তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। 
কোনো সমস্যা নেই।
কোনো গুনাহ হবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
শায়েখ এখানে একটু ক্লিয়ার করবেন, দাদীর সম্পদ তার ছেলে মেয়েরা পাবে ঠিক আছে। কিন্তু দাদীর মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে মারা গেছে (আমার বাবা, মেজ চাচা, বড় ফুফু)এখন তাদের সেই ভাগ কি এই মৃতদের ছেলে মেয়েরাও পাবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 180 views
...