আসসালামু আলাইকুম,
শায়েখ ওয়ারিশদের সম্পদ বন্টনের একটা বিষয়ে জানতে চাই। আমার দাদা যখন মারা যান তখন তার স্ত্রীসহ, ৪ ছেলে, ৫ মেয়ে সবার ভিতর তাদের প্রাপ্য সম্পদ বন্টন করে দিয়ে যান, এমনকি তার ওয়াকফ করা মসজিদের জন্যও ব্যবস্থা করে যান। তার মৃত্যুর পর আমার দাদী স্বংয় সম্পন্ন হলেও আমার বাবা এবং চাচারাই দেখাশুনা করতেন। আমার বাবা চাচারা সবাই আলহামদুলিল্লাহ কেউ কারো উপরই ডিপেন্ডেড না এবং সবাই স্বয়ংসম্পন্ন ও আলাদা। আমার দাদী জীবিতবস্থায় বড় চাচা মারা যান, এখানে একটা কথা বলার তিনি অনেক দানশীল ছিলেন এবং তার অনেক ছেলেমেয়ে ফলে তিনি জীবদ্দশায় দাদার থেকে পাওয়া সম্পদের বাইরে খুব বেশি কিছু করে যেতে পারেনি। ২০১১ সালে বড় চাচা মারা যান, ২০১৭ তে আমার দাদী মারা যান। দাদীর জীবন্দদশাতেই আমার সেঝ ফুফা এবং সেঝ চাচা মিলে আমার ফুফুদের সহ আমার বাবা, মেজ চাচাকে জানান যেহেতু মা বেচে থাকতে তার ছেলে মারা গেছে তাই বড় চাচার সম্পদে মার ভাগ আছে, তাকে এটা নিতে হবে না নিলে নাকি গোনাহগার হবে। তো এই বিষয়টা মীমাংসা করতে করতেই দাদী মারা যান। এখন যেহেতু দাদীর সম্পদের একটা ভাগ পায় বড় চাচার কাছে, এখন দাদী যেহেতু মারা গেছে তাই তার এই ভাগ তার বেচে থাকা সব ছেলে মেয়েদের ভিতর বন্টন করতে হবে, বড় চাচার ওয়ারিশদেরকে এটা দিতে হবে, আর আমাদের এটা নিতে হবে না হলে নাকি কঠিন গোনাহগার হতে হবে। এটা নাকি আলেমদের কাছ থেকে ফতোয়া নিয়েই জেনেছেন।আগেই বলেছি চাচার তেমন সম্পদ ছিলনা তবুও তার ওয়ারিশরা দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু সম্পদ বন্টন একটু জটিল বিষয় আর তাদের ও একটু সময় লাগছে। এমতাবস্থায় ২০১৯ এ মেজ চাচা ও ২০২০ এ আমার বাবা মারা যান। এখন আমার সেঝ চাচা ও ফুফুরা মিলে এই বিষয়টা নিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হ্যারেজ করেই যাচ্ছে, তাদেরকে ভাগ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রেশার দিচ্ছে, যদিও তারা প্রত্যকেই কোটিপতি। এখানে আরও একটা বিষয় আমার বাবা এই সম্পদ নেওয়ার বিষয়ে খুব বেশী রাজি ছিলনা, কিন্তু সবার চাপে পড়ে একসময় নিতে রাজী হয়। কিন্তু আমরা এই বিষয়ে কখনই ইন্টারেস্ট ছিলাম না আর আমার বাবা মারা যাওয়ার পর এটা একদমই বাদ দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের যা দিয়েছেন আমরা এতেই সন্তুস্ট।
কিন্তু আমার সেঝ চাচা এবং ফুফুরা মিলে বড় চাচার ওয়ারিশদের সহ আমাদেরকেও হ্যারাজ করে চলছে, কারন আমরা নিতে চাইনি কেন?
এখন আমার প্রশ্ন হলো এইযে চাচার ভাগের থেকে দাদীর পাওয়া, দাদীর সম্পদ থেকে তার বাকী ছেলে মেয়েদের পাওয়া এটার আসলে শরীয়তের হুকুম কি? আর তাদের কাছ থেকে এই ভাগ নেওয়াটা আসলেই কি খুব জরুরী? মানে তারা যদি না দিতে চায় বা আমরা না নিতে চাই? বর্তমানের এই অবস্থার প্রেক্ষিতে এই সম্পদ নেওয়াটা কি খুব জরুরী?
আফওয়ান শায়েখ, প্রশ্নটা অনেক বড় হয়ে গেল কিন্তু বিস্তারিত না বললে সংক্ষেপে হয়তো বোঝাতে পারতাম না। আমাকে বিষয় টা সব রেফারেন্স সহ একটু বলবেন। এটা নিয়ে খুব ঝামেলা হচ্ছে।
জাঝাকাল্লাহু খাইরান