বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আযানের জবাবের পদ্ধতি
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عن عمر بن الخطاب قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " إذا قال المؤذن الله أكبر الله أكبر فقال أحدكم الله أكبر الله أكبر ثم قال أشهد أن لا إله إلا الله قال أشهد أن لا إله إلا الله ثم قال أشهد أن محمدا رسول الله قال أشهد أن محمدا رسول الله ثم قال حي على الصلاة قال لا حول ولا قوة إلا بالله ثم قال حي على الفلاح قال لا حول ولا قوة إلا بالله ثم قال الله أكبر الله أكبر قال الله أكبر الله أكبر ثم قال لا إله إلا الله قال لا إله إلا الله من قلبه دخل الجنة "
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি মুয়াজ্জিনের আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার-এর জওয়াবে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার বলে এবং আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর জওয়াবে আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে এবং আশহাদু আন্না মুাহম্মাদার রাসূলুল্লাহ এর জওয়াবে আশহাদু আন্না মুাহম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলে। অতঃপর হাইয়্যা ‘আলাস্-সলাহ-এর জওয়াবে যদি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলে। তারপর হাইয়্যা ‘আলাল-ফালাহ-এর জওয়াবে যদি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলে। তারপর যদি আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার জওয়াবে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর জওয়াবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(সহীহ মুসলিম-৩৮৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আযানের জবাব মূলত সরাসরি আযান শ্রবণের পরই দেয়া মুস্তাহাব।মুখে দেওয়া মুস্তাহাব। আর মসজিদের জামাতের সাথে নামায পড়ে কাজের মাধ্যমে জবাব দেওয়া ওয়াজিব। রেকর্ড আযানের জবাবের সওয়াব আর বাস্তব আযানের জবাবের সওয়াব উভয় সমান নয়। বরং সওয়াবে অবশ্যই পার্থক্য থাকবে। আযান শোনা না গেলে , কেউ রেকর্ড আযানের জবাব দিতে চাইলে সে দিতেও পারবে।
একসাথে অনেক গুলো আযান শোনা গেলে, যেকোনো একটি আযানের জবাব দিলেই মুস্তাহাব আদায় হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে রেকর্ড আযান বাজানোর কোনো প্রয়োজন নাই।
(২)এতে কোনো গোনাহ হবে না।