আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,027 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
১৷ টিকটিকির পায়খানা তো নাপাক, তা শরীরের কোথাও লাগলে শুধু ধুয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে?

২৷ টিকটিকির শরীরও কি নাপাক? শরীরের কোথাও পড়লে ধুতে হবে?

৩৷ টিকটিকি যে স্থানে (কাঠের দরজা/জানালা) নিশ্চিতভাবে চলাচল করে সেখানে হাত পড়লে কি হাত ধুয়ে নিতে হবে?

৪৷ যদি বিছানার চাদরের উপর দিয়ে টিকটিকি যায় তবে চাদরের সে স্থানে হাত পড়লে কি হাত ধোয়া প্রয়োজন?

৫৷ টয়লেটে প্রসাব-পায়খানা করার পরে ধোয়ার সময় যদি একটি পানির ফোটার পরিমাণ নাপাক ছিটে শরীরে লাগে তবে তা কি ধোয়া জরুরি? অনেক সময় শরীরের পিছন অংশে লাগে, যা ঠিকভাবে পানি দেয়া সম্ভব হয় না৷

৬৷ তরল প্রসাব যদি পায়ে বা শরীরে কোথাও লাগে, তবে কি শুধু ভালোভাবে কয়েক বার পানি ঢেলে দিলেই চলবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
https://www.ifatwa.info/118 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)
সে সম্পর্কে বলা হয়,
 كل ما يخرج من بدن الإنسان مما يوجب خروجه الوضوء أو الغسل فهو مغلظ كالغائط والبول والمني والمذي والودي والقيح والصديد والقيء إذا ملأ الفم. كذا في البحر الرائق.
وكذا دم الحيض والنفاس والاستحاضة هكذا في السراج الوهاج وكذلك بول الصغير والصغيرة أكلا أو لا. كذا في الاختيار شرح المختار 
وكذلك الخمر والدم المسفوح ولحم الميتة وبول ما لا يؤكل والروث وأخثاء البقر والعذرة ونجو الكلب وخرء الدجاج والبط والإوز نجس نجاسة غليظة هكذا في فتاوى قاضي خان 
وكذا خرء السباع والسنور والفأرة. هكذا في السراج الوهاج بول الهرة والفأرة إذا أصاب الثوب قال بعضهم: يفسد إذا زاد على قدر الدرهم وهو الظاهر. هكذا في فتاوى قاضي خان والخلاصة خرء الحية وبولها نجس نجاسة غليظة وكذا خرء العلق. كذا في التتارخانية ودم الحلمة والوزغة نجس إذا كان سائلا. كذا في الظهيرية فإذا أصاب الثوب أكثر من قدر الدرهم يمنع جواز الصلاة. كذا في المحيط.
ভাবার্থঃ-ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার  প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
টিকটিকির বিষ্টা যদি কাপড়ে বা শরীরে লাগে,এবং এক দিরহাম থেকে বেশী হয়,তাহলে সেই কাপড় বা শরীর নিয়ে নামায হবে না।হ্যা, অল্প পরিমাণ লাগলেও তা ধৌত করতে হবে, যদি সুযোগ-সুবিধা থাকে।

(২)
টিকটিকর শরীর নাপাক নয়,সুতরাং টিকটিকি শরীরে লাগলে শরীর বা কাপড় নাপাক হবে না।


(৩)
টিকটিকি যে স্থানে (কাঠের দরজা/জানালা) নিশ্চিতভাবে চলাচল করে সেখানে হাত পড়লে, হাতকে ধৌত করতে হবে না।

(৪)
বিছানার চাদরের উপর দিয়ে যদি টিকটিকি যায়, তবে চাদরের সে স্থানে হাত পড়লে হাতকে ধৌত করতে হবে না।

(৫)
টয়লেটে প্রসাব-পায়খানা করার পরে ধৌত করার সময় যদি পানির একটি নাপাক ফোটা বা ছিটা শরীরে লাগে তবে ধৌত করতে হবে।কিন্তু এক দিরহাম পরিমাণ না হলে তা ধৌত করা জরুরী নয়।

(৬)
তরল প্রসাব যদি পায়ে বা শরীরের কোথাও লাগে,  শুধু তা ধৌত করতে হবে।এক দিরহাম থেকে বেশী হলে নামায হবে না।নতুবা নামায হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...