বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কৃতদাসী ছিল।নবুওত লাভের পূর্বে কোনো কৃতদাসী ছিল না।তবে পরে ছিল।মারিয়া কিবতিয়া নামের একজন কৃতদাসী ছিল।যার গর্ভে ইবরাহিম নামের একজন সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন।
(২)
পূর্বযুগে পরাজিত দল যেই হোক না কেন,তাদের মহিলাদেরকে বন্দী করা হতো,কৃতদাসী বানিয়ে নেয়া হতো।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের দিক দিয়ে ইসলাম দাসদেরকে যে মর্যাদা দান করেছে তা স্বাধীন ও মুক্ত মানুষের মর্যাদার প্রায় কাছাকাছি। সেমতে অন্যান্য জাতির বিপরীতে ইসলাম দাসদের শুধু বিবাহ করার অনুমিতই দেয়নি ;বরং মালিকদেরকে
وانكحوا الايامي منكم
আয়াতের মাধ্যমে জোর তাগিদও করেছে।এমনকি তারা স্বাধীন-মুক্ত নারীদেরকেও বিবাহ করতে পারে।তারা জেহাদেও অংশগ্রহণ করতে পারে এবং যুদ্ধলব্ধ সম্পদে তাদের অংশ স্বাধীন মুজাহিদের সমান।শত্রুকে যে কোন ধরণের নিরাপত্তা দানের ব্যাপারে তাদের উক্তিও তেমনি ধর্তব্য যেমন স্বাধীন ব্যক্তিবর্গের উক্তি।কোরআন ও হাদীসে তাদের সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশাবলী এত অধিক বর্ণিত হয়েছে যে,সেগুলোকে একত্রে সন্নিবেশিত করলে একটি স্বতন্ত্র পুস্তক হয়ে যেতে পারে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5229
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দাসপ্রথা মূলত যুদ্ধবন্ধিদেরকে হত্যা থেকে বাঁচানোর মোক্ষম একটি হাতিয়ার হিসেবে ইসলামে বিবেচিত। যুদ্ধবন্ধিদেরকে হত্যা থেকে থেকে বাঁচাতেই মূলত ইসলামের দাস প্রথার রুখসত দেয়া হয়েছে। আল্লাহর ইবাদত কোনো প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হলে কুরআন কোরআন দাস মুক্ত করে অপরাধমুক্ত হওয়ার বিধান রেখেছে। কাজেই ইসলামও চায়, দাসপ্রথা হ্রাস পাক।
যেহেতু দাসদের অধিকার আদায় পূর্বক তাদের কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ কুরআন অনুমোদিত, তাবেয়ী এবং তাবে তাবেয়ী এবং আওলিয়াগণ দাস গ্রহণ করেছিলেন।