আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১.রাসূলুল্লাহ্ (স) এর জীবনের কোন সময় কি কোন দাসী ছিলেন? ওনার নবুয়ত লাভের আগেও? কোন ক্রীতদাস কি ছিলেন তাঁর?

২. ইসলামে দাস-দাসী প্রথার ব্যাপারে জানতে চাই। সুন্নী মুসলিম নারীদের কে কোনভাবে দাসী বানানো জায়েজ হবে? বা পরাজিত রাজ্যের মুসলিম নারীরাও কি দাসী হতে পারে? নাকি শুধু কাফেররাই দাসদাসী হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কৃতদাসী ছিল।নবুওত লাভের পূর্বে কোনো কৃতদাসী ছিল না।তবে পরে ছিল।মারিয়া কিবতিয়া নামের একজন কৃতদাসী ছিল।যার গর্ভে ইবরাহিম নামের একজন সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন।


(২)
পূর্বযুগে পরাজিত দল যেই হোক না কেন,তাদের মহিলাদেরকে বন্দী করা হতো,কৃতদাসী বানিয়ে নেয়া হতো। 
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের দিক দিয়ে ইসলাম দাসদেরকে যে মর্যাদা দান করেছে তা স্বাধীন ও মুক্ত মানুষের মর্যাদার প্রায় কাছাকাছি। সেমতে অন্যান্য জাতির বিপরীতে ইসলাম দাসদের শুধু বিবাহ করার অনুমিতই দেয়নি ;বরং মালিকদেরকে 
وانكحوا الايامي منكم 
আয়াতের মাধ্যমে জোর তাগিদও করেছে।এমনকি তারা স্বাধীন-মুক্ত নারীদেরকেও বিবাহ করতে পারে।তারা জেহাদেও অংশগ্রহণ করতে পারে এবং যুদ্ধলব্ধ সম্পদে তাদের অংশ স্বাধীন মুজাহিদের সমান।শত্রুকে যে কোন ধরণের নিরাপত্তা দানের ব্যাপারে তাদের উক্তিও তেমনি ধর্তব্য যেমন স্বাধীন ব্যক্তিবর্গের উক্তি।কোরআন ও হাদীসে তাদের সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশাবলী এত অধিক বর্ণিত হয়েছে যে,সেগুলোকে একত্রে সন্নিবেশিত করলে একটি স্বতন্ত্র পুস্তক হয়ে যেতে পারে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/5229

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দাসপ্রথা মূলত যুদ্ধবন্ধিদেরকে হত্যা থেকে বাঁচানোর মোক্ষম একটি হাতিয়ার হিসেবে ইসলামে বিবেচিত। যুদ্ধবন্ধিদেরকে হত্যা থেকে থেকে বাঁচাতেই মূলত ইসলামের দাস প্রথার রুখসত দেয়া হয়েছে। আল্লাহর ইবাদত কোনো প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হলে কুরআন কোরআন দাস মুক্ত করে অপরাধমুক্ত হওয়ার বিধান রেখেছে। কাজেই ইসলামও চায়, দাসপ্রথা হ্রাস পাক।
যেহেতু দাসদের অধিকার আদায় পূর্বক তাদের কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ কুরআন অনুমোদিত, তাবেয়ী এবং তাবে তাবেয়ী এবং আওলিয়াগণ দাস গ্রহণ করেছিলেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...