জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
পূর্বের এক ফতোয়াতে আমরা নামাজে ঢেকুর দেওয়া,সেই পানি মুখে আসা সংক্রান্ত মাসয়ালা উল্লেখ করেছিঃ
শরীয়তের বিধান মতে নামাজে ঢেকুর দেওয়া মাকরুহ।
যতসম্ভব সেটা আটকানোর চেষ্টা করতে হবে।
যতটুকু সম্ভব হয় আওয়াজ নিচু করার চেষ্টা করবে।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ২/৭৮০)
.
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " التَّثَاؤُبُ فِي الصَّلاَةِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَكْظِمْ مَا اسْتَطَاعَ " .
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নামাযের মধ্যে হাই তোলা শাইতানের তরফ হতে হয়ে থাকে। তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন তা ফিরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। —সহীহ। য’ঈফা— (২৪২০), মুসলিম।
তিরমিজি ৩৭০)
,
নামাজের সময় যদি ঢেকুর চলে আসে,সাথে যদি পানি মুখের ভিতরে চলে আসে,তাহলে অনিচ্ছায় সেটি গলায় চলে গেলে বা গলার ভিতর যাওয়া থেকে আটকানো সম্ভব না হলে তাতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
কোনো ছুরতেই অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
,
যদি সেটিকে গলার ভিতর চলে যাওয়া থেকে আটকানো যায়,তাহলে ভিতরে যেতে দিবেনা।
পকেটে টিস্যু ইত্যাদি থাকলে তিনি সেটা টিস্যুতে রেখে দিতে পারেন,কাপড়েও মুড়ে রেখে দিতে পারেন।
বাহিরে ফেলেও দিতে পারেন।
কিন্তু সেটু পশ্চিম দিকে বা কেবলার দিকে ফেলবেন না।
বুখারী শরীফের ৩৯৬ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي الْقِبْلَةِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ، فَقَامَ فَحَكَّهُ بِيَدِهِ فَقَالَ " إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ، فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ ـ أَوْ إِنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ ـ فَلاَ يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ ". ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ، ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، فَقَالَ " أَوْ يَفْعَلْ هَكَذَا ".
কুতায়বা (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তাঁর কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তাঁর চেহারায় তা ফুটে উঠলো। তিনি উঠে দিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তাঁর রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তাঁর ও কিবলার মাঝখানে তাঁর রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যখন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তাঁর বাম দিকে বা পায়ের নীচে তা ফেলে। তারপর চাঁদরের আঁচল দিয়ে তিনি তাতে থুথু ফেললেন এবং তাঁর এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেনঃ অথবা সে এরূপ করবে।
সহীহ : বুখারী ৪০৫, সহীহ আল জামি‘ ১৫৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ২২৬৭।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও একই বিধান।
মুখে পাকস্থলী থেকে পানি চলে আসে,
তাহলে অনিচ্ছায় সেটি গলায় চলে গেলে বা গলার ভিতর যাওয়া থেকে আটকানো সম্ভব না হলে তাতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
কোনো ছুরতেই অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
,
যদি মুখের ভিতরে চলে আসে,আর সেটিকে গলার ভিতর চলে যাওয়া থেকে আটকানো যায়,তাহলে ভিতরে যেতে দিবেনা।
পকেটে টিস্যু ইত্যাদি থাকলে তিনি সেটা টিস্যুতে রেখে দিতে পারেন,কাপড়েও মুড়ে রেখে দিতে পারেন।