ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অলসতা, বিষণ্ণতা ও হীনমন্যতা অপছন্দনীয় এবং বৈধ আনন্দ ফুর্তি প্রশংসনীয় ও কাম্য।এ বিষয়ক কিছু আয়াত ও হাদীস হল...…
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻣَﺎ ﺟَﻌَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ ﻣِﻦْ ﺣَﺮَﺝٍ
১।তিনি ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি।{সূরা হজ্জ্ব-৭৮}
ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟْﻴُﺴْﺮَ ﻭَﻻَ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟْﻌُﺴْﺮَ
২।আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন।{সূরা:বাকারা,আয়াত-১৮৫}
৩।ঈদের দিন কয়েকজন হাবশি লোক ঢাল ও বর্ষা নিয়ে খেলা করছিলো।এই অবস্থায় তারা হুজুর সাঃ কে দেখে লজ্জায় সরে গেলো তখন হুজুর সাঃ বললেনঃ
" ﺧُﺬُﻭﺍ ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺃَﺭْﻓَﺪَﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻌْﻠَﻢَ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩُ , ﻭَﺍﻟﻨَّﺼَﺎﺭَﻯ , ﺃَﻥَّ ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻨَﺎ ﻓُﺴْﺤَﺔً "(كتاب:ﺇﺗﺤﺎﻑ ﺍﻟﺨﻴﺮﺓ ﺍﻟﻤﻬﺮﺓ ﺑﺰﻭﺍﺋﺪ ﺍﻟﻤﺴﺎﻧﻴﺪ ﺍﻟﻌﺸﺮﺓ-رقم الحديث;5103)
হে হাবশি বালকেরা তোমরা খেলতে থাকো যেন ইহুদি ও নাসারারা জানতে পারে যে,আমাদের ধর্মে বিস্তৃতি রয়েছে। বিনোদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৬৭৩
মোটকথাঃ
কৌতুক, চিত্তবিনোদন ইত্যাদি ইসলামে নিষিদ্ধ নয়।বরং অনুমোদিত রয়েছে।তবে এক্ষেত্রে কয়েকটা শর্ত রয়েছে-
(১)দ্বীন-ধর্মকে কোনো প্রকার মশকারা হতে পারবে না।
(২)কৌতুকে সত্যতা থাকতে হবে।
(৩)কৌতুকের দ্বারা কাউকে ভয় দেখানো যাবে না।
(৪)কাউকে ছোট করা বা লাঞ্ছিত করার মন-মানষিকতা থাকতে পারবে না।
(৫)কৌতুক মাঝেমধ্যে মতে হবে।সর্বদা করা যাবে না।
(৬)মানুষের মর্যাদা বুঝে তার সাথে কৌতুক করতে হবে।
(৭)খাদ্যর জন্য লবন যতটুকু সীমারেখা রাখে।আমাদের জীবনের সাথে সেটার সাীমারেখাকে পরিমাপণ করে নিতে হবে।
(৮)তাতে গীবত থাকতে পারবে না।
(৯)মুনাসিব সময়ে কৌতুক হতে হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ডং করে কাউকে কাফির বলা কখনো জায়েয হবে না। তবে এজন্য কেউ কাফির হবে না। হ্যা, কাউকে অযথা কাফির আখ্যায়িত করা যাবে না। কেননা অযথা কাউকে কাফির আখ্যায়িত করলে সে নিজেই কাফির হয়ে যাবে।