আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
279 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)

শরীয়ত এর দিক থেকে কাউকে কাফের বলা সংক্রান্ত মানে কোনো মুসলিম কে কাফের বললে, যদি ওই মুসলিম কাফের না হয় তাইলে নিজে কাফের হইয়া যায়।

উপোরক্ত হাদিস শারীফ যদি কোনো ৪০ বছরের অজ্ঞ ব্যক্তি না জানে। 

এই না জানা অবস্থায় যদি কোনো মুসলিম কে ডং করে ''হিন্দু'' বললে,,ওই ব্যক্তির ঈমানের সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4126 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
অলসতা, বিষণ্ণতা ও হীনমন্যতা অপছন্দনীয় এবং বৈধ আনন্দ ফুর্তি প্রশংসনীয় ও কাম্য।এ বিষয়ক কিছু আয়াত ও হাদীস হল...…

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻣَﺎ ﺟَﻌَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ ﻣِﻦْ ﺣَﺮَﺝٍ 
১।তিনি ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি।{সূরা হজ্জ্ব-৭৮}
ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟْﻴُﺴْﺮَ ﻭَﻻَ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟْﻌُﺴْﺮَ 
২।আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন।{সূরা:বাকারা,আয়াত-১৮৫}
৩।ঈদের দিন কয়েকজন হাবশি লোক ঢাল ও বর্ষা নিয়ে খেলা করছিলো।এই অবস্থায়  তারা হুজুর সাঃ কে দেখে লজ্জায় সরে গেলো তখন হুজুর সাঃ বললেনঃ 
 " ﺧُﺬُﻭﺍ ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺃَﺭْﻓَﺪَﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻌْﻠَﻢَ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩُ , ﻭَﺍﻟﻨَّﺼَﺎﺭَﻯ , ﺃَﻥَّ ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻨَﺎ ﻓُﺴْﺤَﺔً "(كتاب:ﺇﺗﺤﺎﻑ ﺍﻟﺨﻴﺮﺓ ﺍﻟﻤﻬﺮﺓ ﺑﺰﻭﺍﺋﺪ ﺍﻟﻤﺴﺎﻧﻴﺪ ﺍﻟﻌﺸﺮﺓ-رقم الحديث;5103)
হে হাবশি বালকেরা তোমরা খেলতে থাকো যেন ইহুদি ও নাসারারা জানতে পারে যে,আমাদের ধর্মে বিস্তৃতি রয়েছে। বিনোদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৬৭৩

মোটকথাঃ
কৌতুক, চিত্তবিনোদন ইত্যাদি ইসলামে নিষিদ্ধ নয়।বরং অনুমোদিত  রয়েছে।তবে এক্ষেত্রে কয়েকটা শর্ত রয়েছে-
(১)দ্বীন-ধর্মকে কোনো প্রকার মশকারা হতে পারবে না।
(২)কৌতুকে সত্যতা থাকতে হবে।
(৩)কৌতুকের দ্বারা কাউকে ভয় দেখানো যাবে না।
(৪)কাউকে ছোট করা বা লাঞ্ছিত করার মন-মানষিকতা থাকতে পারবে না।
(৫)কৌতুক মাঝেমধ্যে মতে হবে।সর্বদা করা যাবে না।
(৬)মানুষের মর্যাদা বুঝে তার সাথে কৌতুক করতে হবে।
(৭)খাদ্যর জন্য লবন যতটুকু সীমারেখা রাখে।আমাদের জীবনের সাথে সেটার সাীমারেখাকে পরিমাপণ করে নিতে হবে।
(৮)তাতে গীবত থাকতে পারবে না।
(৯)মুনাসিব সময়ে কৌতুক হতে হবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ডং করে কাউকে কাফির বলা কখনো জায়েয হবে না। তবে এজন্য কেউ কাফির হবে না। হ্যা, কাউকে অযথা কাফির আখ্যায়িত করা যাবে না। কেননা অযথা কাউকে কাফির আখ্যায়িত করলে সে নিজেই কাফির হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...