ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য হানাফি ফিকহে কিছু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে।সেগুলো লক্ষণীয়।
শশুর যদি তার ছেলের বৌকে কামভাব নিয়ে স্পর্শ করে,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে উক্ত ছেলের বৌ ছেলের জন্য তৎক্ষণাৎ হারাম হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৭/২৪৩)
উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)
খালি গায়ে স্পর্শ হতে হবে বা এমন পাতলা কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ হতে হবে যে, কাপড় থাকার পরও শরীরের স্পন্দন অনুভূত হয়।
لما في ردالمحتار،ج:٣/ ص:٣٤
(قوله: بحائل لا يمنع الحرارة) أي ولو بحائل إلخ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة، كذا في أكثر الكتب، وكذا لو جامعها بخرقة على ذكره، فما في الذخيرة من أن الإمام ظهير الدين أنه يفتى بالحرمة في القبلة على الفم والذقن والخد والرأس، وإن كان على المقنعة محمول على ما إذا كانت رقيقة تصل الحرارة معها بحر.
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)চুলের মধ্যে হাতের স্পর্শ লাগলে এবং উত্তেজনা অনুভব করলে হুরমত প্রমাণিত হবে না।
(২)কারো গায়ে স্পর্শ লাগল এবং উত্তেজনা ও অনুভব হল। কিন্তু যার গায়ে স্পর্শ লাগল তার প্রতি কুচিন্তা আসল না কুচিন্তা আসছে অন্য আরেক জনের প্রতি অথবা কারো প্রতি ও কুচিন্তা আসল না এমনিতেই উত্তেজনা অনুভব হল, তাহলে এমতাবস্থায় হুরমত প্রমাণিত হবে না।
(৩)কারো চুলে হাতের স্পর্শ লাগল এবং উত্তেজনা ও সৃষ্টি হল কিন্তু কুচিন্তা তার প্রতি ছিলনা অন্য জনের প্রতি ছিল । তাতেও হুরমত প্রমাণিত হবে না।