ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুসাল্লির সামন দিয়ে কারো অতিক্রম করার সম্ভাবনা থাকলে ইমাম এবং মুনফারিদেরর(একাকী নামায আদায়কারী) জন্য সামনে সুতরা রেখে নামায পড়া মুস্তাহাব।
হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻱِّ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻰ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ، ﻓَﻠْﻴُﺼَﻞِّ ﺇِﻟَﻰ ﺳُﺘْﺮَﺓٍ ﻭَﻟْﻴَﺪْﻥُ ﻣِﻨْﻬَﺎ )
যখন তোমাদের মধ্য থেকে কেউ নামায পড়বে তখন সে যেন সামনে সুতরা রেখে নামায পড়ে এবং সুতরার নিকটবর্তী থাকে। (সুনানে আবু-দাউদ-৫৯৮)
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় (২৪/১৭৭)" রয়েছে,
ﻳﺴﻦ ﻟﻠﻤﺼﻠﻲ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻓﺬﺍ ( ﻣﻨﻔﺮﺩﺍ ) ، ﺃﻭ ﺇﻣﺎﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺘﺨﺬ ﺃﻣﺎﻣﻪ ﺳﺘﺮﺓ ﺗﻤﻨﻊ ﺍﻟﻤﺮﻭﺭ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻳﻪ , ﻭﺗﻤﻜﻨﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﺸﻮﻉ ﻓﻲ ﺃﻓﻌﺎﻝ ﺍﻟﺼﻼﺓ ؛ ﻭﺫﻟﻚ ﻟﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇﺫﺍ ﺻﻠﻰ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻓﻠﻴﺼﻞ ﺇﻟﻰ ﺳﺘﺮﺓ , ﻭﻟﻴﺪﻥ ﻣﻨﻬﺎ , ﻭﻻ ﻳﺪﻉ ﺃﺣﺪﺍ ﻳﻤﺮ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻳﻪ ) ، ﻭﻟﻘﻮﻟﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻟﻴﺴﺘﺘﺮ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻓﻲ ﺻﻼﺗﻪ ﻭﻟﻮ ﺑﺴﻬﻢ ) .
ﺃﻣﺎ ﺍﻟﻤﺄﻣﻮﻡ ﻓﻼ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻪ ﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﺴﺘﺮﺓ ﺍﺗﻔﺎﻗﺎ ; ﻷﻥ ﺳﺘﺮﺓ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺳﺘﺮﺓ ﻟﻤﻦ ﺧﻠﻔﻪ , ﺃﻭ ﻷﻥ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺳﺘﺮﺓ ﻟﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
ইমাম বা মুনফারিদের জন্য সমানে সুতরা রেখে নামায পড়া সুনা্নত(সুন্নাত মানে সুন্নাতে যায়েদা যার অর্থ মুস্তাহাব)।যাতে করে সুতরা মুসাল্লির সামনে অতিক্রম করা থেকে বাধা প্রদাণ করে।এবং যাতে করে মুসাল্লির নামাযে খুশু-খুজু তৈরী হয়।কেননা হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,'যখন তোমাদের মধ্য থেকে কেউ নামায পড়ে সে যেন সুতরা সামনে রেখে নামায পড়ে এবং সুতরার নিকটবর্তী থাকে।যাতেকরে তার সামন দিয়ে অতিক্রম করার সুযোগ কেউ না পায়।এবং রাসূলুল্লাহ আরো বলেন,তোমাদের মধ্যে যারা নামায পড়বে তারা যেন সামনে সুতরা রাখে,চায় তীর দ্বারাই হোক না কেন।মা'মুমের(ইমাম ব্যতীত অন্যান্য মুসাল্লি)জন্য সামনে সুতরা রাখার প্রয়োজন নেই।কেননা ইমামের সুতরা মা'মুমের জন্য যথেষ্ট।অর্থাৎ ইমাম পরবর্তী মা'মুমদের জন্য সুতরা হিসেবে যথেষ্ট। আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় (২৪/১৭৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) নামাজের সামনে কেউ শুয়ে থাকলে তার নামাজ হবে।
(২) নামাজী ব্যক্তির দিকে মুখ করে বসে থাকলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে মুসাল্লির নামায হবে। তবে তাকিয়ে থাকার ব্যক্তির গোনাহ হবে যদি সে কাছ থেকে তাকিয়ে থাকে, যেখানে নামাযের ব্যঘাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে।