জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ঈদের পরে ৬ টি রোযা দ্বারা শাওয়াল মাসের ছয়টি রোযা উদ্দেশ্য।
এটি নফল রোযা।
রাসুলুল্লাহ সাঃ উম্মতকে রাখতে বলেছেন।
এই রোযার বিশেষ ফজিলত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ فَذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ " .
আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক রামাযান মাসে রোযা পালন করলো, তারপর শাওয়াল মাসের ছয় দিন রোযা পালন করলো, সে লোক যেন সম্পূর্ণ বছরই রোযা পালন করলো। – হাসান সহীহ,
সহীহ : মুসলিম ১১৬৪, তিরমিযী ৭৫৯, আবূ দাঊদ ২৪৩৩, দারিমী ১৭৫৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২১১৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৬৩৪, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব ৭৯১৮, আহমাদ ২৩৫৩৩, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৯০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৪৩১, সহীহ আত্ তারগীব ১০০৬।
ইবনু মা-জাহ (১৭১৬),তিরমিজি ৭৫৯)
قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي أَيُّوبَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدِ اسْتَحَبَّ قَوْمٌ صِيَامَ سِتَّةِ أَيَّامٍ مِنْ شَوَّالٍ بِهَذَا الْحَدِيثِ
আবূ ঈসা আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। একদল বিশেষজ্ঞ আলিম এই হাদীসের ভিত্তিতে শাওয়াল মাসের ছয় দিন রোযা পালন করাকে মুস্তাহাব মনে করেন।
قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَيُرْوَى فِي بَعْضِ الْحَدِيثِ " وَيُلْحَقُ هَذَا الصِّيَامُ بِرَمَضَانَ " . وَاخْتَارَ ابْنُ الْمُبَارَكِ أَنْ تَكُونَ سِتَّةَ أَيَّامٍ فِي أَوَّلِ الشَّهْرِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ قَالَ إِنْ صَامَ سِتَّةَ أَيَّامٍ مِنْ شَوَّالٍ مُتَفَرِّقًا فَهُوَ جَائِزٌ
এ রোযা রামাযানের রোযার পরপরই পালনের কথা কোন কোন হাদীসে উল্লেখ আছে। তাই তিনি এই ছয়টি রোযা শাওয়াল মাসের শুরুর দিকে পালন করাকে বেশি পছন্দীয় মনে করেছেন তিনি আরও বলেছেনঃ শাওয়াল মাসের ভিন্ন ভিন্ন দিনের রোযা পালন করাও জায়িয আছে।
(তিরমিজি শরীফ ৭৫৯)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
শাওয়াল মাসের শেষ পর্যন্ত এই রোযা রাখা যাবে।
শাওয়াল মাসের পর এই রোযা রাখার কোনো বিধান নেই।
এতে এই ফজিলত পাবেনা।
,
আজ শাওয়াল মাসের ২০ তারিখ (২ জুন)
শাওয়াল মাস ৩০ দিনে হলে আগামী ১২ ই জুন পর্যন্ত এই রোখা যাবে।
শাওয়াল মাস ২৯ দিনে হলে আগামী ১১ ই জুন পর্যন্ত এই রোখা যাবে।
,
সুতরাং এই রোযা রাখার এখনো ১০/১১ দিনের মতো সময় আছে।
আপনি সময় সুযোগ মোতাকেক রাখতে পারেন।