(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ فَذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ " .
আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক রামাযান মাসে রোযা পালন করলো, তারপর শাওয়াল মাসের ছয় দিন রোযা পালন করলো, সে লোক যেন সম্পূর্ণ বছরই রোযা পালন করলো। – হাসান সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৭১৬), মুসলিম.তিরমিজি ৭৫৯)
★এখানে রমজানের সমস্ত রোযা রাখার পর কেহ যদি শাওয়ালের ৬ টি রোযা রাখে,তার ক্ষেত্রে এই বিশেষ ফজিলতের কথা এসেছে।
কিন্তু কেহ যদি রমজানের সমস্ত রোযা না রাখে,তাহলে তার জন্য এই বিশেষ ফজিলত নেই।
হ্যাঁ তিনি কাজা আদায় করে নিলে সেই ফজিলত পাবেন।
(০২)
যে রোযা না রাখবে,তার জন্যই কাযা আদায়ের বিধান।
এতে সে মহিলা হোক বা পুরুষ হোক।
মহিলারা হায়েজ নিফাস ইত্যাদি কারনে যে কয়টি রোযা রাখতে পারেনি,সে কয়টি রোযার কাজা আদায় করবে।
যদি হায়েজ নিফাস ব্যাতিত এমনিতেই বা কোনো অসুস্থতা ইত্যাদি কারনে রোযা না রাখে,তাহলেও তাকে সেই দিন গুলোর কাযা আদায় করতে হবে।
পুরুষের জন্যেও,যদি তারা এমনিতেই বা কোনো অসুস্থতা ইত্যাদি কারনে রোযা না রাখে,তাহলেও তাকে সেই দিন গুলোর কাযা আদায় করতে হবে।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ
شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾
রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
★আয়াতে রুগ্ন কিংবা মুসাফিরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে যে, সে তখন সাওম না রেখে বরং সুস্থ হওয়ার পর অথবা সফর শেষ হওয়ার পর ততদিনের সাওম কাযা করে নেবে।