জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আছর নামাজের পর সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া জায়েজ নেই,মাকরুহে তাহরিমি ।
তবে সেই দিনের আছর নামাজ আদায় করা যাবে।
উমরি কাজা নামাজ আদায় করা যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا مَنْصُورٌ، وَهُوَ ابْنُ زَاذَانَ عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ غَيْرَ، وَاحِدٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَكَانَ مِنْ أَحَبِّهِمْ إِلَىَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَعَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবীর নিকট হতে এ হাদীস শুনেছি যাদের মধ্যে উমার (রাঃ)-ও ছিলেন। সাহাবাদের মধ্যে তিনিই ছিলেন আমার নিকট বেশি প্রিয়। (তারা বলেছেন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফযরের নামাযের পর সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের নামাযের পর সূর্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোন নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১২৫০), বুখারী ও মুসলিম,তিরমিজি ১৮৩)
وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ الْفُقَهَاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ أَنَّهُمْ كَرِهُوا الصَّلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَبَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَأَمَّا الصَّلَوَاتُ الْفَوَائِتُ فَلاَ بَأْسَ أَنْ تُقْضَى بَعْدَ الْعَصْرِ وَبَعْدَ الصُّبْحِ
(سنن الترمذي ۱؍۴۵)
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ ফকীহ সাহাবা ও তাদের পরবর্তীগণ ফযর নামাযের পর হতে সূর্য উঠা পর্যন্ত এবং আসরের পর হতে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোন নামায আদায় করা মাকরুহ বলেছেন, কিন্তু ছুটে যাওয়া (ফওত হওয়া ফরয) নামায ফযর ও আসরের পর আদায় করা যাবে।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা আছর নামাজের পর কোনো নফল (ছলাতুল হাজত,ইস্তেখারার নামাজ) আদায় করা জায়েজ নেই।
(০২)
যেমন মুসলিম ব্যক্তি তার দো’আয় বলবেঃ হে আল্লাহ! আপনি যে পরম করুণাময় ও দয়ালু সে ওসীলা দিয়ে আমি আপনার কাছে আমাকে সুস্থতা দানের প্রার্থনা করছি।
‘হে আল্লাহ! আপনার প্রতি আমার ঈমান, আপনার জন্য আমার ভালবাসা ও আপনার রাসূলের অনুসরণের ওসীলায় আমায় ক্ষমা করুন’
‘হে আল্লাহ। আপনার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য আমার ভালবাসা এবং তার প্রতি আমার ঈমানের ওসীলায় আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যেন আমায় বিপদমুক্ত করেন’।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
যদি সত্যিই বায়ু আসে,তাহলে এটি শয়তানী ওয়াসওয়াসা নয়।
এটি অসুস্থতা, যার চিকিৎসা প্রয়োজন।
,
আর যদি সত্যিই বায়ু না আসে,শুধু শুধু সন্দেহ হয়,বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিত না হোন, তাহলে এটি শয়তানী ওয়াসওয়াসা।
,
★জী,অবশ্যই দোয়া থাকবে, মহান আল্লাহ তায়ালা যেনো একজন দ্বীনদার চক্ষুশীতলকারীনীর সাথে আপনার শীঘ্রই বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন। আমিন।