জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রথমেই আমরা একটি মাসয়ালা জেনে নেইঃ
শরীয়তের বিধান হলো হারাম কাজকে হালাল মনে করা শিরক ও কুফরী।যদি কেউ মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِتَّخَذُواْ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَاباً مِّنْ دُوْنِ اللهِ-
‘আল্লাহর পরিবর্তে তারা তাদের আলেম ও সাধু-দরবেশদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে’ (তওবা ৩১)।
আদী বিন হাতেম (রাঃ) আল্লাহর নবীকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনে বলেছিলেন,
إِنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْبُدُونَهُمْ ‘
ওরা তো তাদের ইবাদত করে না’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন,
وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوهُ
‘তা বটে। কিন্তু আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারা ওদেরকে তা হালাল করে দিলে ওরা তা হালালই মনে করে। একইভাবে আল্লাহ যা হালাল করেছেন তারা ওদেরকে তা হারাম করে দিলে ওরা তা হারামই মনে করে। এটাই তাদের ইবাদত করা’।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
وَلاَ يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-
‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল মনে করার অর্থ হল,কোনো কিছুকে হালাল এবং হারাম ঘোষনা প্রদানের একচ্ছত্র অধীকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কাউকে হালাল এবং হারাম কারী মনে করা শিরক ও কুফরী।যদি কেউ মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এই অবৈধ প্রেমকে হারাম জানা সত্ত্বেও হালাল মনে করে কেহ প্রেম করে,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিয়ত টেনে আনার কোনো সুযোগ নেই।
স্পষ্ট নাজায়েজ কাজ এটি।
,
(০২)
কোনো কিছুকে শুভ অশুভ বলার বিষয়টি যেহেতু আকীদার সাথে সম্পৃক্ত,তাই এক্ষেত্রে স্পষ্ট নাজায়েজ কোনো কাজ না হলে নিয়তের বিষয়টি ধর্তব্য হবে।
এক্ষেত্রে নিয়ত শরীয়াহ মোতাবেক হলে সমস্যা নেই।
আর নিয়ত শরীয়াহ বহির্ভুত হলে সেটির অনুমোদন নেই।
,
★সুতরাং আকীদা সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্ট নাজায়েজ কাজ না হলে সেটির ক্ষেত্রে নিয়ত ধর্তব্য।
স্পষ্ট নাজায়েজ কাজের ক্ষেত্রে নিয়ত কোনোভাবেই ধর্তব্য নয়।