আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
306 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

sir, এখন মানুষের এমন অনেক অজুহাত শোনা যায় যেগুলো নিয়ে কথা বলা একটু ঘোরানো। যেমন, সব থেকে বেশি দেখা যায়,কাউকে তার হারাম প্রেমের কথা বলে নিষেধ করলে,এই অজুহাত দেখায়,"আমরা তো বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রেম করছি। আর সব কাজ তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। " এই "সব কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল " এই হাদিসের কথা বলেই সব জায়গায় একটা অজুহাত দাঁড় করানো হচ্ছে। আবার কেউ যদি বলে, "দেখ তুমি কাউকে নিজের জন্য কুফা বললে,এটা কিন্তু শির্ক। যে তুমি শুভ অশুভ জিনিসে বিশ্বাস রাখছো"। তখন দেখা যায় যাকে বলা হয়েছে,সে বলে," আচ্ছা আমার নাহয় ভুল হয়েছে মানলাম। কিন্তু আমি তো এইসব মনে রেখে বলিনি। আমার নিয়ত তো এমন কিছু mean করা ছিল না। আর নিয়তটাই তো main".
sir, আম জানতে চাচ্ছি এই যে নিয়তের কথা টেনে নিজেকে দোষহীন বলার যে চেষ্টা,এটা ইসলামের দিক থেকে কতটুকু supported আর এর উত্তরে একজন দাঈ কি বলবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রথমেই আমরা একটি মাসয়ালা জেনে নেইঃ

শরীয়তের বিধান হলো হারাম কাজকে হালাল মনে করা শিরক ও কুফরী।যদি কেউ মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِتَّخَذُواْ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَاباً مِّنْ دُوْنِ اللهِ-

‘আল্লাহর পরিবর্তে তারা তাদের আলেম ও সাধু-দরবেশদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে’ (তওবা ৩১)।

আদী বিন হাতেম (রাঃ) আল্লাহর নবীকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনে বলেছিলেন,

 إِنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْبُدُونَهُمْ ‘

ওরা তো তাদের ইবাদত করে না’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন,

 وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوهُ 

‘তা বটে। কিন্তু আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারা ওদেরকে তা হালাল করে দিলে ওরা তা হালালই মনে করে। একইভাবে আল্লাহ যা হালাল করেছেন তারা ওদেরকে তা হারাম করে দিলে ওরা তা হারামই মনে করে। এটাই তাদের ইবাদত করা’।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,

وَلاَ يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-

‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।


অন্যত্র তিনি বলেন,

قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-

‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল মনে করার অর্থ হল,কোনো কিছুকে হালাল এবং হারাম ঘোষনা  প্রদানের একচ্ছত্র অধীকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কাউকে হালাল এবং হারাম কারী মনে করা শিরক ও কুফরী।যদি কেউ মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।

আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এই অবৈধ প্রেমকে হারাম জানা সত্ত্বেও  হালাল মনে করে কেহ প্রেম করে,তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।   

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিয়ত টেনে আনার কোনো সুযোগ নেই।
স্পষ্ট নাজায়েজ কাজ এটি।
,
(০২)
কোনো কিছুকে শুভ অশুভ বলার বিষয়টি যেহেতু আকীদার সাথে সম্পৃক্ত,তাই এক্ষেত্রে স্পষ্ট নাজায়েজ কোনো কাজ না হলে নিয়তের বিষয়টি ধর্তব্য হবে।
এক্ষেত্রে নিয়ত শরীয়াহ মোতাবেক হলে সমস্যা নেই।
আর নিয়ত শরীয়াহ বহির্ভুত হলে সেটির অনুমোদন নেই।
,
★সুতরাং আকীদা সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্ট নাজায়েজ কাজ না হলে সেটির ক্ষেত্রে নিয়ত ধর্তব্য। 
            
স্পষ্ট নাজায়েজ কাজের ক্ষেত্রে নিয়ত কোনোভাবেই ধর্তব্য নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...