আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
242 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম

On Behalf Questions from a Friend

আমি বিয়ে করি ১৫ বছর আগে। দেন মোহর ছিলো দুই লক্ষ টাকা। আমার সামর্থ্য ছিলোনা ক্যাশ বা উছুলে দেন মোহর পরিশোধের। তাই স্ত্রী এটা কখনই চায়নি বা চাইছেনা এখনো। বিয়ের দিন থেকেই মাফ করে দিয়েছে নিজ ইচ্ছায়।
আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে হয় তার কিছুদিন পরে। উনার দেন মোহর ছিলো মাত্র ৭৫ হাজার টাকা। যার ৬০% ই স্বর্ণ দিয়ে পরিশোধ করা। অর্থাৎ ১৫ বছর আগে শ্বর্ণের বাজারদর ছিলো সেই দামেই।
মূল কথায় আসি...

এখন আমার সামর্থ্য হয়েছে দেন মোহর পরিশোধের বা আমি চাইলেই স্ত্রীকে এটা পরিশোধ করে খুশি করতে পারি।
কিন্তু স্ত্রী যদি এখন বলে যে, পরিশোধ যখন করবা আমাকে ঐ পরিমাণ করো, যে বাজার দরের পরিমাণে স্বর্ণ তোমার ভাই তার স্ত্রীকে ওই সময় দেন মোহর পরিশোধ করেছিলো।
অর্থাৎ, ১৫ বছর আগে স্বর্ণের বাজার দর ছিলো ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে ৭০ হাজার টাকা। তাহলে আমি যদি ১৫ বছর আগে স্বর্ণ দিতাম, ৮ ভরি দেওয়া লাগতো।
কিন্তু এখনো তো দুই লক্ষ টাকায় পাচ্ছে মাত্র দুই বা আড়াই ভরি স্বর্ণ!!!

এক্ষেত্রে কি দেন মোহরের পরিবর্তন সম্ভব? বা স্ত্রীর এমন চাহিদার কোন ভিত্তি কি ইসলামে আছে বা এই সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
ধন্যবাদ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন-

فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা : ২৪)

অন্যত্র তিনি বলেন-
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا

এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে ছেড়ে দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর।(সূরা নিসা : ৪)
.
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে,
আয়াতে ‘হষ্টচিত্তে’ প্রদানের শর্ত আরোপ করার পেছনে গভীর তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। কেননা, মাহর স্ত্রীর অধিকার এবং তার নিজস্ব সম্পদ হৃষ্টচিত্তে যদি সে তা কাউকে না দেয় বা দাবী ত্যাগ না করে, তবে স্বামী বা অভিভাবকের পক্ষে সে সম্পদ কোন অবস্থাতেই হালাল হবে না। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদীসে শরীয়তের মূলনীতিরূপে এরশাদ করেছেনঃ “কারো পক্ষে অন্যের সম্পদ তার আন্তরিক তুষ্টি ব্যতীত গ্রহণ করা হালাল হবে না।” [মুসনাদে আহমাদঃ ৩/৪২৩]

আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তির স্ত্রী যদি নিজ ইচ্ছায় সম্পূর্ণভাবে  মোহরানা মাফ করে দিয়ে থাকে,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,তাহলে সেই স্ত্রী তো আর কোনো ভাবে মোহরানা পাবেইনা।
সে মোহরানা চাওয়ার কোনো অধিকার রাখেনা।

উক্ত স্বামী যদি কিছু দিতেই চায়,সেটি তার পক্ষ থেকে উপহার মাত্র।
এটি কোনোভাবেই স্ত্রীর পাওনা নয়।
,
হ্যাঁ যদি স্ত্রী মাফ করে না দিয়ে থাকে,তাহলে সে মোহরানা চাওয়ার হক রাখে।
এক্ষেত্রে সে দুই লক্ষ টাকা পাবে।
কোনোভাবেই এর বেশি নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...