নিজেকে ও নিজের সকল বিষয়কে আল্লাহ তাআলার কাছে সোপর্দ করে ভারমুক্ত হোন, এবং নিজ কাজে ভালোভাবে মগ্ন হয়ে যান। নিম্নের দোয়াটি মাঝে মাঝে পড়বেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।”
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - قَالَ سَعِيدٌ الزُّهْرِيُّ - عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ : كُنْتُ أَخْدُمُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَكُنْتُ أَسْمَعُهُ كَثِيرًا يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَضَلْعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ "
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমাত করতাম। আমি তাঁকে অধিকাংশ সময় বলতে শুনেছিঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা, দুঃখ-বেদনা, ঋণের বোঝা এবং মানুষের নির্যাতন হতে আপনার কাছে আশ্রয় চাই’’।
বুখারী (অধ্যায় : জিহাদ, হাঃ ২৮৯৩), তিরমিযী (অধ্যায় : দা‘ওয়াত, হাঃ ৩৪৮৪, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ সূত্রে হাদীসটি গরীব), নাসায়ী (অধ্যায় : আশ্রয় প্রার্থনা, হাঃ ৫৪৬৬,আবু দাউদ ১৫৪১।)
গুনাহ থেকে দূরে থাকবেন। কারণ গুনাহর কারণে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বলতা আসে।
অধিক হারে আল্লাহর যিকির করবে।
বেশি নেশি কুরআন তেলাওয়াত করবেন।
قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي
মূসা বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي
এবং আমার কাজ সহজ করে দিন।
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي
এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।
يَفْقَهُوا قَوْلِي
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
(সীরা ত্বাহা-২৫--২৮)
★প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এবং প্রত্যেক সকাল সন্ধা আপনি এই দু'আ পড়বেন।
ইনশাআল্লাহ দুশ্চিন্তা টেনশন বাদ দিয়ে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে উপরোক্ত আমল করুন।
ইনশাআল্লাহ সমাধান পাবেন।
,
বিস্তারিত জানুনঃ