আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
379 views
in সালাত(Prayer) by (0 points)
কিরাত দীর্ঘ করতে চাইলে কি ক্রম অনুযায়ী সুরা পরতে হবে?নাকি নিজের ইচ্ছামতো?মানে,আমি কি চাইকে একই রাকাতে সুরা ফাতিহা পরার পর সুরা ইয়াসিনের কিছু আয়াত,সুরা আর-রাহমান এর কিছু আয়াত,সুরা তাকাসুর তারপর আবার সুরা নাস পরতে পারব?নাকি কিরাত দীর্ঘ করতে চাইলে আমাকে সুরার ক্রম অনুযায়ী পরতে হবে?এখান থেকে কিছু আয়াত,সেখান থেকে কিছু,এইটা করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وإذا جمع بين سورتين بينهما سور أو سورة واحدة في ركعة واحدة يكره وأما في ركعتين إن كان بينهما سور لا يكره وإن كان بينهما سورة واحدة قال بعضهم: يكره، وقال بعضهم: إن كانت السورة طويلة لا يكره. هكذا في المحيط كما إذا كان بينهما سورتان قصيرتان. كذا في الخلاصة. وقال بعضهم: لا يكره أصلا
যদি কেউ একই রা'কাতে এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানের অনেক সূরা রয়েছে,বা একটি সূরা রয়েছে,তাহলে এমনটা করা মাকরুহ।তবে যদি দুই রা'কাতে কেউ এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানে অনেক সূরা রয়েছে,তাহলে সেটা মাকরুহ হবে না।আর যদি ঐ দু'টি সূরার মধ্যখানে একটি সূরা থেকে যায়,তাহলে কেউ কেউ এটাকে মাকরুহ বলেছেন।এবং কেউ কেউ বলেন,যদি মধ্যখানের সূরা বেশ দীর্ঘ হয়,তাহলে মাকরুহ হবে না।ঠিক তেমনি দু'টি ছোট ছোট সূরা থাকলে মাকরুহ হবে না।(খুলাসাহ)

আর কেউ কেউ বলেন,এমনটা করলে কোনো অবস্থাতেই মাকরুহ হবে না।
وإذا قرأ في ركعة سورة وفي الركعة الأخرى أو في تلك الركعة سورة فوق تلك السورة يكره وكذا إذا قرأ في ركعة آية ثم قرأ في الركعة الأخرى أو في تلك الركعة آية أخرى فوق تلك الآية وإذا جمع بين آيتين بينهما آيات أو آية واحدة في ركعة واحدة أو في ركعتين فهو على ما ذكرنا في السور
কেউ যদি কোনে রা'কাতে একটি সূরা পড়ে,এবং দ্বিতীয় রা'কাতে বা ঐ রা'কাতেই এর পূর্ববর্তী কোনো সূরা পড়ে,তাহলে এটা মাকরুহ।ঠিকতেমনি কেউ যদি কোনো রা'কাতে একটি আয়াত পড়ে,এবং দ্বিতীয় রা'কাতে বা ঐ রাকাতেই এর পূর্ববর্তী আয়াত পড়ে নেয়,তাহলে মাকরুহ হবে।

যদি কেউ একই রা'কাতে বা দুই রা'কাতে এমনসব আয়াত পড়ে যে আয়াত সমূহের মধ্যখানে কয়েকটি আয়াত বাকী থাকে, বা একটি আয়াত থাকে তাহলে  পূর্বের ব্যখ্যা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ অনেক আয়াতের ব্যবধান থাকলে মাকরুহ হবে না।আর ছোট একটি আয়াতের ব্যবধান থাকলে মাকরুহ হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭৮)

ফরয নামাযের এক রা'কাতে এভাবে কয়েকটি সূরা থেকে পড়া সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৯১)

সূরায়ে ফাতেহা পরবর্তী সূরার একই জায়গা থেকে তিন আয়াত পরিমাণ পড়া ওয়াজিব।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৯৭)

সূরায়ে ফাতেহার পর কোনো সূরার একি জায়গা থেকে তিন আয়াত পরিমাণ পড়া ওয়াজিব নয়।বরং কয়েক সূরার থেকে পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।যদিও ইচ্ছাকৃত এমনটা করা মাকরুহ।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/৫৩৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফরয নামাযে এভাবে কেরাত দীর্ঘ করার স্বার্থে কয়েক সূরা থেকে না পড়াই উত্তম।কেননা অনেক উলামায়ে কেরাম এটাকে মাকরুহ বলেছেন।তাছাড়া এমনটা সুন্নাহ দ্বারাও প্রমাণিত নয়।তাই কেউ যদি তার নামাযকে দীর্ঘ করে পড়তে চায়,সে যেন ধারাবাহিক ক্রম অনুযায়ী সে তেলাওয়াত করে।এটাই তার জন্য বেশী সওয়াব হবে।এবং নিরাপদ হবে।

তবে কেউ এভাবে পড়ে নিলে তার নামায হয়ে যাবে,সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।

নফল নামাযে সে চাইলে পড়তে পারবে,তবে সর্বাবস্থায় উসূলে ফিকহের মূলনীতি অনুযায়ী চলাই নিরাপদ।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...