আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
মুহতারাম
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
আমাদের মহল্লার মসজিদটি জেলা প্রশাসকের সহায়তায় লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে সরকারি জমিতে নির্মাণ করতে দেওয়া হয়েছিল। তবে মসজিদের নামে জায়গাটির লিখিত স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন এখনো হয় নি। প্রায় ২০ বছর ধরে মসজিদটিতে নামাজ চালু আছে আলহামদুলিল্লাহ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কমপ্লেক্সের জায়গাটি কি ওয়াকফ হিসেবে পরিগণিত হবে?

উক্ত কমপ্লেক্সের খালি জায়গায় একটি অস্থায়ী হিফজ মাদরাসা চালু রয়েছে যাতে সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন বাধা আসে নি আলহামদুলিল্লাহ। উক্ত মাদরাসা কি মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতর পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে অর্থাৎ বহুতলভাবে করা যাবে?আলাদা সীমানা না দিয়ে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জেলা প্রশাসক যদি সরকারী জমিতে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দিয়ে দেয়,এবং এ অনুমতির পরিপেক্ষিতে তাতে মসজিদ নির্মাণ করা হয়ে থাকে, তাহলে তা মসজিদ বলেই পরিগণিত হবে। ওয়াকফ হওয়ার জন্য মুখ দ্বারা বলাই যথেষ্ট। লিখিত রেজিস্ট্রেশনের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। সুতরাং এ মসজিদকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। উক্ত মসজিদের এরিয়াতে অর্থাৎ জেলা প্রশাসক যতটুকু জায়গা মসজিদের জন্য দান করেছিলেন, তাতে মাদরাসা নির্মাণ করা জায়েয হবে না। হ্যা, অস্থায়ীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। 

https://www.ifatwa.info/4254 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
ওয়াকফ করার পর সেই ওয়াকফকৃত জায়গার মালিক কে হবে?
এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামগণের কিছুটা মতবিরোধ মূলক আলোচনা থাকলেও পরবর্তী সময়ের ফকিহগণ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন-
وَعِنْدَهُمَا حَبْسُ الْعَيْنِ عَلَى حُكْمِ مِلْكِ اللَّهِ تَعَالَى عَلَى وَجْهٍ تَعُودُ مَنْفَعَتُهُ إلَى الْعِبَادِ فَيَلْزَمُ وَلَا يُبَاعُ وَلَا يُوهَبُ وَلَا يُورَثُ كَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَفِي الْعُيُونِ وَالْيَتِيمَةِ إنَّ الْفَتْوَى عَلَى قَوْلِهِمَا كَذَا فِي شَرْحِ أَبِي الْمَكَارِمِ لِلنُّقَايَةِ 
ইমাম আবু ইউসুফ রাহ ও ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে ওয়াকফকৃত জিনিষ মালিকের মালিকানা থেকে বের হয়ে আল্লাহর মালিকানায় এমন পদ্ধতিতে চলে যাবে যে, ওয়াকফকৃত জিনিষ থেকে মাখলুকাত ফায়দা অর্জন করবে।উক্ত ওয়াকফকৃত জিনিষকে বিক্রি করা যাবে না,কাউকে হাদিয়্যা ও দেয়া যাবে না,এবং তার ওয়ারিছও কেউ হবে না।উক্ত মতামতের উপরই পরবর্তী হানাফি ফকিহগণ ফাতাওয়া দিয়েছেন।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-২/৩৫)

ওয়াকফ করার পর উক্ত ওয়াকফ সম্পর্কে ওয়াকফকারী যদি শরীয়ত সমর্থিত কোনো শর্ত করে তাহলে তা গ্রহণযোগ্য।এ সম্পর্কে ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন-
ﻓَﺈِﻥَّ ﺷَﺮَاﺋِﻂَ اﻟْﻮَاﻗِﻒِ ﻣُﻌْﺘَﺒَﺮَﺓٌ ﺇﺫَا ﻟَﻢْ ﺗُﺨَﺎﻟِﻒْ اﻟﺸَّﺮْﻉَ ﻭَﻫُﻮَ ﻣَﺎﻟِﻚٌ، ﻓَﻠَﻪُ ﺃَﻥْ ﻳَﺠْﻌَﻞَ ﻣَﺎﻟَﻪُ ﺣَﻴْﺚُ ﺷَﺎءَ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔ
শরীয়ত বিরোধী না হলে ওয়াকফ কারীর শর্তসমূহ গ্রহণযোগ্য,কেননা সে তো উক্ত মালেক মালিক ছিলো,তাই গোনাহের সম্ভাবনা না থাকলে সে তার মালকে যেখানে ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা সেখানেই রাখতে পারবে।(রদ্দুল মুহতার-শামেলা৪/৩৪৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...