আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
অাসসালামু অালাইকুম

তিন ভাই তিন বোন সবার অবস্থা ভালো।বাবা প্রাইমারি টিচার ছিলো পেনশন পায় সংসারের অারো ইনকাম অাছে বোনদের সবার বিয়ে হয়ে গেছে।। মেজো ভাই ব্যাংকার। অার বড় ভাইটা অার ছোট ভাইটা খুব অভাবী।ছোট ভাইটার বেশি কষ্ট নিজের স্ত্রী সন্তানের খরচ ঠিক মত চালাতে পারেনা এমনকি নিজে ভালো কোনো পোশাক ও কিনতে পারেনা এমতাবস্থায় ওই বাবা অার ব্যাংকার ভাই অভাবী ছোট ভাইকে হেল্প না করলে কি  তাদের  পাপ হবে

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সেই অভাবি ভাইদের সংসার যদি অর্থনৈতিক ভাবে খুবই অসচ্ছল হয়,সংসার ঠিকমতো চালাতে না পারে,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,
এক্ষেত্রে বাবা, অন্য ভাই যদি সামর্থ্যবান হয়,তাহলে সেই অভাবি ভাইদেরকে টাকা দিয়ে সাপোর্ট দিবে।
নতুবা গুনাহ হবে।
এক্ষেত্রে যারা টাকা দিয়ে সাপোর্ট দিবে তথা বাবা,অন্য ভাই সামর্থ্যবান হওয়ার পরিমাণ হলো, নিজ মালিকানার সম্পত্তি বা উপার্জনকৃত আয়ের দ্বারা নিজের ও নিজের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকতে হবে। 
,
,
শরীয়তের বিধান হলো  বাবার অপারগতা ও অবর্তমানে বোনের লালন-পালন, উপযুক্ত পাত্র দেখে বিয়ে দেওয়া ভাইয়ের দায়িত্ব। রাসুল (সা.) বলেছেন, 'যার তিনটি মেয়ে রয়েছে অথবা তিনজন বোন রয়েছে কিংবা দুই বোন বা দুই মেয়ে রয়েছে, অতঃপর সে তাদের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করে, উত্তম পাত্র দেখে বিয়ে দেয় এবং তাদের সঙ্গে সর্বোত্তম ব্যবহার করে। তার জন্য জান্নাত অবধারিত'- (তিরমিজি, আবু দাউদ)। 

অন্য হাদিসে এসেছে, 'যে ব্যক্তি এতে আনন্দিত হয় যে তার রিজিক প্রশস্ত হবে ও আয়ু বৃদ্ধি পাবে, যে যেন আত্মীয়তা বজায় রাখে'- (বোখারি, মুসলিম)।

বোনের জন্য প্রয়োজনে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
হজরত জাবের (রা.)-এর একটি ঘটনা খুবই স্মরণীয়। রাসুল (সা.) তাকে বলেছেন, 'তুমি কুমারী নারী বিয়ে না করে তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে করেছ কেন?' তিনি উত্তর দিলেন, 'আমার বাবা মারা গেছেন। আমার ছোট ছোট কয়েকজন বোন রয়েছে, তাদের লালন-পালন ও শিক্ষা-দীক্ষার জন্যই আমি বয়স্ক নারী বিয়ে করেছি।' রাসুল (সা.) বললেন, 'আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন'- (বোখারি, মুসলিম।)

★হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খরচের ব্যাপারে তুমি আগে নিজের প্রয়োজনীয় খরচের দায়িত্বশীল, তারপর তোমার স্ত্রীর, তারপর সামর্থ্য হলে তোমার নিকটাত্মীয়ের খরচ তোমার ওপর বর্তাবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৯৯৭)

বিস্তারিত  জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...