সেই অভাবি ভাইদের সংসার যদি অর্থনৈতিক ভাবে খুবই অসচ্ছল হয়,সংসার ঠিকমতো চালাতে না পারে,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,
এক্ষেত্রে বাবা, অন্য ভাই যদি সামর্থ্যবান হয়,তাহলে সেই অভাবি ভাইদেরকে টাকা দিয়ে সাপোর্ট দিবে।
এক্ষেত্রে যারা টাকা দিয়ে সাপোর্ট দিবে তথা বাবা,অন্য ভাই সামর্থ্যবান হওয়ার পরিমাণ হলো, নিজ মালিকানার সম্পত্তি বা উপার্জনকৃত আয়ের দ্বারা নিজের ও নিজের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকতে হবে।
শরীয়তের বিধান হলো বাবার অপারগতা ও অবর্তমানে বোনের লালন-পালন, উপযুক্ত পাত্র দেখে বিয়ে দেওয়া ভাইয়ের দায়িত্ব। রাসুল (সা.) বলেছেন, 'যার তিনটি মেয়ে রয়েছে অথবা তিনজন বোন রয়েছে কিংবা দুই বোন বা দুই মেয়ে রয়েছে, অতঃপর সে তাদের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করে, উত্তম পাত্র দেখে বিয়ে দেয় এবং তাদের সঙ্গে সর্বোত্তম ব্যবহার করে। তার জন্য জান্নাত অবধারিত'- (তিরমিজি, আবু দাউদ)।
অন্য হাদিসে এসেছে, 'যে ব্যক্তি এতে আনন্দিত হয় যে তার রিজিক প্রশস্ত হবে ও আয়ু বৃদ্ধি পাবে, যে যেন আত্মীয়তা বজায় রাখে'- (বোখারি, মুসলিম)।
বোনের জন্য প্রয়োজনে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হজরত জাবের (রা.)-এর একটি ঘটনা খুবই স্মরণীয়। রাসুল (সা.) তাকে বলেছেন, 'তুমি কুমারী নারী বিয়ে না করে তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে করেছ কেন?' তিনি উত্তর দিলেন, 'আমার বাবা মারা গেছেন। আমার ছোট ছোট কয়েকজন বোন রয়েছে, তাদের লালন-পালন ও শিক্ষা-দীক্ষার জন্যই আমি বয়স্ক নারী বিয়ে করেছি।' রাসুল (সা.) বললেন, 'আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন'- (বোখারি, মুসলিম।)
★হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খরচের ব্যাপারে তুমি আগে নিজের প্রয়োজনীয় খরচের দায়িত্বশীল, তারপর তোমার স্ত্রীর, তারপর সামর্থ্য হলে তোমার নিকটাত্মীয়ের খরচ তোমার ওপর বর্তাবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৯৯৭)