বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
এবং হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺃَﺧْﺒَﺮَﺗْﻪُ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺪْﻋُﻮ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢِ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺤْﻴَﺎ ﻭَﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺄْﺛَﻢِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮَﻡِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﻗَﺎﺋِﻞٌ ﻣَﺎ ﺃَﻛْﺜَﺮَ ﻣَﺎ ﺗَﺴْﺘَﻌِﻴﺬُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﻐْﺮَﻡِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞَ ﺇِﺫَﺍ ﻏَﺮِﻡَ ﺣَﺪَّﺙَ ﻓَﻜَﺬَﺏَ ﻭَﻭَﻋَﺪَ ﻓَﺄَﺧْﻠَﻒَ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ নামাযে প্রায় এভাবে দু'আ করতেন।হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে,এবং দাজ্জালের ফিৎনা থেকে, জীবিত ও মৃতদের ফিৎনা-ফাসাদ থেকে,এবং গুনাহ ও ঋণের বোঝা থেকে ক্ষমা চাইতেছি।তখন উপস্থিত একজন নবী করিম সাঃকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে রাসূলুল্লাহ সাঃ আপনাকে ঋণের বোঝা থেকে ক্ষমা চাইতে দেখছি,তখন নবী করিম সাঃ প্রতিউত্তরে বললেন, যখন মানুষ ঋণগ্রস্ত হয় তখন দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে মিথ্যা কথা বলতে থাকে এবং ওয়াদা ভঙ্গ করতে থাকে।{সহীহ বোখারী-৮৩৩}
আপনি নামাযের বাহিরে দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ এমন দু'আ করবেন।নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে হানাফি কোনো কোনো ফকীহ অনুমোদন ও দেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ফরয নামাযে সালাম ফিরানোর পর বাংলায় দুআ করা যাবে। তবে সেজদায় বাংলায় দুআ করা যাবে না। করলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(২) অধিকাংশ ফকিহ এর বক্তব্য হল, সুন্নত নফল নামাযেও বাংলায় দুআ করা যাবে না। হ্যা, কুরআন সুন্নাহ বর্ণিত আরবী দুআ করা যাবে।
(৩) মনে মনে যিকির করা যাবে। তবে জিহবা নাড়িয়ে উচ্ছারণ করে যিকির করাই উত্তম।
(৪) আপনার রোযা হয়নি। আপনি কেননা সেহরির খাওয়ার পরই মূলত আপনি রোযার নিয়ত করবেন। অথচ আপনি রোযার নিয়তই করেননি। সুতরাং অনিচ্ছাকৃতভাবে 3:56 পর্যন্ত খেয়ে ফেলার কারণে আপনার রোযাই হয়নি।
(৬) যদি তাতে সরাসরি সুদের সাথে সম্পর্কিত কোনো কাজ করতে হয়, তাহলে তা জায়েয হবে না। নতুবা সরকারী অন্যান্য চাকুরীর মত তা জায়েয হবে।
(৭) প্রত্যেক নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তে নারী পুরুষ সবার জন্য নামায পড়া মুস্তাহাব ও উত্তম। মাগরিবের নামাযকে তাড়াতাড়ি পড়া মুস্তাহাব। সুতরাং ৬ঃ৪৪ এর পর সাথে সাথেই মাগরিবের নামায পড়া মুস্তহাব। নারী পুরুষ সবার জন্যই মুস্তাহাব।
(৮) দ্বীনদারিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজনীয় হাদীস অনুসারে। সুন্নতি বিয়েতে শুধুমাত্র মহর থাকবে, বরযাত্রী প্রথা গায়ে হলুদ ইত্যাদি থাকবে না। হ্যা স্বামী ওয়ালিমার ব্যবস্থা করবে।