ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সাহু সেজদার উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে।
নিম্নে তা উল্লেখ করা হল......
وَالصَّوَابُ أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
وَيَأْتِي بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
অর্থাৎ-সেজদায়ে সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে, অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সেজদায় চলে যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে,অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে,।
দরুদ শরীফও দু'আয়ে মাছুরা কখন পড়বে?
সেজদায়ে সাহু দেয়ার পূর্বে দরুদ শরীফ ও অন্যান্য দু'আয়ে মাছুরা পড়বে নাকি সেজদায়ে সাহু দেয়ার পরে পড়বে? এ ব্যাপারে উত্তম কি?
এ সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে.....
وَالدُّعَاءِ فِي قَعْدَةِ السَّهْوِ هُوَ الصَّحِيحُ وَقِيلَ: يَأْتِي بِهِمَا فِي الْقَعْدَةِ الْأُولَى، كَذَا فِي التَّبْيِينِ. وَالْأَحْوَطُ أَنْ يُصَلِّي-
দরুদ ও দু'আ সমূহ সেজদায়ে সাহু দেয়ার পরে পড়াই উত্তম এবং এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। তবে কেউ কেউ সেজদায়ে সাহুর পূর্বে নামাযের বৈঠকেও পড়ার অভিমত ব্যক্ত করে থাকেন(এবং কেউ কেউ উভয় বৈঠকে)।
তবে সর্বোচ্ছ সতর্কতাজনক পদক্ষেপ হল, সময়-সুযোগ থাকলে পূর্ণ নামাযকে আবার প্রথম থেকে দোহরিয়ে পড়া।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১২৫(দারুল ফিকর (বাইরুত) মাকতাবা থেকে ৬ খন্ডে ১৩১০হিজরীতে প্রকাশিত)
আরও বর্ণিত রয়েছে,আল মুহিত বুরহানী১/৪৯৯
হযরত ছাওবান রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِكُلِّ سَهْوٍ سَجْدَتَانِ بَعْدَ مَايُسَلِّمُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,প্রত্যেক ভূলের(তরকে ওয়াজিবের)সালামের পর জন্য দু'টি সেজদা রয়েছে।(সুনানু আবি-দাউদ-১০৩৮,বায়হাক্বী-২/৩৩৭)
উক্ত হাদীসে সালামের পর সেজদায়ে সাহুর কথা বলা হয়েছে।সালামের পর বলতে এক সালামের পর।কেননা দুই সালাম তো নামাযকে সমাপ্ত করে দেয়।
(২) সম্পৃতি নষ্ট হয় এমন কোনো প্রশ্ন এখানে করা যাবে না।
(৩) এমতাবস্থায় আপনার জন্য বাবড়ি না রাখাই ভালো হবে।