আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,
দয়া করে আমার কথা গুলো সব পরে জানাবেন শয়রীয় মোতাবেক আমার করনীয় কি হবে? যদি আমার কোন কথা আপনার বুঝে না আসে আমাকে জানাবেন। আমি কমেন্টে আবার আমার কথা গুলো লিখে পাঠাব।
জাঝাকাল্লাহ খাইর।
১) বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামীর সাথে ইসলামের হুকুম আহকাম নিয়ে দ্বন্ধ চলছে। মাঝে মিধ্যে মেনে নিলেও প্রায়ই মানেন না। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় সেক্স বিষয় নিয়ে, যেখানে উনি হারাম নাযায়েজ (পায়ু পথে সহবাস, একজন আরেক জনের লিংগ মুখে নিয়ে সহবাস) কাজ সম্পাদন করতে চান। এই গুলো আমি করতে দেইনা বলে উনি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। এই অবস্থায় আমার করনীয় কি?
২) তিনি আমার মোহরের টাকা সম্পুর্ণ দিয়ে দেন। আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এই টাকা আবার উনি ফেরত চেয়েছিলেন। আমি দিতে অপরাগ জানিয়ে ছিলাম। দ্বিতীয় বার উনি আবার মোহরের টাকা চেয়েছেন ফ্লাট কিনবেন বলে এবং পরে আমাকে দিয়ে দিবেন এই কথা বলছেন। তো আমি ঝগড়া বাড়বে এই কারনে বলি টাকা আপনি নিয়েন, এখন ব্যাংকে জমা আছে, আপনার ফ্লাট কিনার ব্যবস্থা হলে তখন টাকা নিবেন। তখন তিনি আমাকে জানান আমি যদি এখন টাকা দিতে রাজি না হতাম তাহলে উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উনি আমাকে তালাক দিয়ে দিবেন।
ক) এখন এই অবস্থায় উনাকে কি আমার মোহরের টাকা দিয়ে দিব?
খ) আর উনার কি শয়রীয়া মোতাবেক উচিত হচ্ছে আমাকে মোহরের টাকা দিয়ে আবার ফেরত চাওয়া?
৩) উনি প্রায় সময় যেকোন কাজের কারনে তালাক দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু তালাকের কথা যখন বলেন তখন কোন হারাম বা নাজায়েজ কাজ করার কথা এই পর্যন্ত বলেন নাই। আলহামদুলিল্লাহ।। কিন্তু উনার চিন্তায় তালাকের কথা থাকেই। এই অবথায় আমার করনীয় কি?
৪) বিয়ের পর থেকে উনার কথা হচ্ছে আমি আমার ইনকামের টাকা আমার বাবা মা কে কেন দেই, উনার ফ্যামিলিতে উনার বাবা মা কে দিচ্ছি না কেন? আমার বাবা মা কেন বিয়ের সময় উনাদের কিছু দেয়নি কেন? এখানে বলে নেই আমার মা উনাকে কিছু দিতে চেয়েছিল কিন্তু উনি তখন নিতে চায়নি, আর আমার বিয়ের পরে আব্বু অসুস্থ হয়ে প্রায় একবছর হসপিটালে ছিল, এই অবস্থাতেও আমার মা আমার ডেলিভারিতে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও উনি এইসব কথা বলেন, এবং আরও বলেন আমার মাষ্টার্সের খরচের টাকা আমার বাবা মা র কাছ থেকে কেন নিচ্ছি না। এখন উনি আবার বলতেছেন উনাদের গ্রামের বাড়িতে উনার বাবা মার সাথে থাকতে। তখন আমি বলি আপনিও আমার সাথে থাকবেন, কারন আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র দেড় বছর হয়েছে, আমি একেবারেই অনভিজ্ঞ এইসব ব্যাপারে, এমনকি আমার ৮ মাসের একটা বাচ্চাও আছে, এমতাবস্থায় আমার পক্ষে সম্ভব না গ্রামে গিয়ে থাকা, যদি উনারা যেখানে থাকেন সেটা শহর, তারপরও আমার পক্ষে সম্ভব না। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে উনি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন, আর আমাকে বার বার তালাকের কথা বলেন, তো এমতাবস্থায় কিসের ভরসায় আমি উনার বাবা মার সাথে গ্রামে থাকব, যেখানে উনি ১৫ দিনে একবার গ্রামে যাবেন বলতেছে। তাই আমি তার কথায় সম্মত হইনি। এই কারনে উনি আমাকে বলছেন, যেদিন উনার আব্বা আম্মা উনাকে বলবে উনি ভাল এবং যোগ্য মেয়ে বিয়ে করছে সেইদিন যাতে আমি আমাকে উনার স্ত্রী বলে নিজেকে পরিচয় দেই। এবং আমি যাতে আমার মত থাকি। বাচ্চার খরচ লাগলে উনাকে বলব উনি বাচ্চার খরচ দিবেন।এখানে বলা নেয়া ভাল হবে যে এই মুহুর্তে আমি আমার মার বাসায় আছি। কারণ আমার বাচ্চা ছোট,আমি পার্ট টাইম লেকচারার জব করি একটা ইউনিভার্সিটিতে, এবং আমি অনভিজ্ঞ সংসার মেনেজ করা নিয়ে, শিখতেছি কিভাবে কি করতে হবে। তা-ই আমি আম্মুর কাছে আছি।
৷ ক) লাল বল্ড করা এই কথার জন্য কি উনার সাথে আমার তালাক হয়ে গেছে? যদি হয়ে যায় তাহলে আমার শয়রীয় মোতাবেক করণীয় কি?
খ) যদি তালাক না হয়ে থাকে তাহলেই বা আমার করণীয় কি হবে?