আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in সালাত(Prayer) by (56 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. নামাজে যদি দেখি ইমাম সুরায় লাহনে জলি করে পড়ে গেছেন এবং সুরায় সামনে এগিয়ে গেছেন তাহলে কি করবো?

২. যদি নামাজ শুরু করার আগেই দেখি ইমাম ভুল পড়তেছে, লাহনে জলি হচ্ছে এমন অবস্থায় তার পিছে নামাজ ধরা কি উচিত হবে?

৩.ঈসা আঃ ও অন্য নবী রাসূলদের এর উম্মত এ মুহাম্মদী হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে।
তারা কি সবাই এই শেষ নবীর উম্মত হওয়ার জন্য দোয়া করেছিলেন ও ঈসা আঃ এর দোয়া কবুল হয়েছে?

তাবলীগ এর সাপ্তাহিক গাশত এ এইসব বলে বেড়ায় সাধারণ মানুষজন

৪.তাবলীগ এ প্রচলিত আরো কিছু ভুল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) ইমাম সাহেব যদি লাহনে জ্বলী করে থাকেন, এবং আপনি ইমাম সাহবে থেকে উত্তম রূপে কিরাত পড়তে পারেন, তাহলে আপনার নামায বিশুদ্ধ হবে না। বরং আপনাকে একাকি আবার নামায কে দোহড়িয়ে নিতে হবে। 

(২) যদি নামায শুরু করার আগেই আপনি জানেন যে, ঐ ইমাম সাহেব লাহনে জ্বলী করবেন, এবং আপনি ঐ ইমাম সাহেব থেকে উত্তমরূপে কিরাত পড়তে পারবেন, তাহলে আপনি ঐ ইমাম সাহেবের সাথে জামাতে শরীক হতে পারবেন না। বরং আপনি একাকি নামায পড়ে নিবেন। 

(৩) https://www.ifatwa.info/18336 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আবু-নুআইম দালাইলুন-নুবুওয়াহ(৬৮-৬৯) গ্রন্থে বলেন, 
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، قَالَ: ثنا الرَّبِيعُ بْنُ النُّعْمَانِ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( إِنَّ مُوسَى لَمَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِ التَّوْرَاةُ، وَقَرَأَهَا فَوَجَدَ فِيهَا ذِكْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَقَالَ: يَا رَبِّي، إِنِّي أَجِدُ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً هُمُ الْآخِرُونَ السَّابِقُونَ، فَاجْعَلْهَا أُمَّتِي قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ ... قَالَ: يَا رَبِّ فَاجْعَلْنِي مِنْ أُمَّةِ أَحْمَدَ. فَأُعْطَى عِنْدَ ذَلِكَ خَصْلَتَيْنِ ... ) .
মর্মার্থ- মুসা আঃ আল্লাহর কাছে উম্মতে মুহাম্মদী হওয়ার আখাংকা পেশ করেন। 
ইমাম আবু নুআইম উক্ত হাদীস বর্ণনার পর সনদের দুর্বলতা সম্পর্কে বলেন, 
قَالَ أبو نعيم عقب هذا الحديث : " وهذا الحديث من غرائب حديث سهيل، لا أعلم أحدا رواه مرفوعا إلا من هذا الوجه، تفرد به الربيع بن النعمان، وبغيره من الأحاديث، عن سهيل، وفيه لين " انتهى .
وجبارة بن المغلس الراوي عن الربيع : ضعفه أهل العلم ، وذكروا أنه يروي الموضوعات وإن لم يكن يتعمد الكذب.

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুসা আঃ এবং পূর্ববর্তী নবীগণ কর্তৃক উম্মতে মুহাম্মদী হওয়া নিয়ে যে আখাংকা পেশ মূলক হাদীস পাওয়া ঐ হাদীস গুলো নিতান্তই দুর্বল । তবে যেহেতু এগুলো দ্বারা কোনো হুকুম আহকাম প্রমাণিত করা হচ্ছে না, তাই এগুলোর উপর আমল করা যেতে পারে। তবে অনেকে এগুলো কে আহলে কিতাবের মতবাদ বা তাদের মনগড়া কাহিনি হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন। 

 (৪)কি কি জানতে চান? আমাদের কে নির্দিষ্ট ভাবে কমেন্টে উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ তাবলীগের কোন কোন বিষয় নিয়ে আপনার মনে প্রশ্ন রয়েছে, আপনি পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
–1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...