জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مُسَدَّدٌ قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ قَالَ أَذَّنَ ابْنُ عُمَرَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ بِضَجْنَانَ ثُمَّ قَالَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ فَأَخْبَرَنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ مُؤَذِّنًا يُؤَذِّنُ ثُمَّ يَقُولُ عَلَى إِثْرِهِ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ فِي اللَّيْلَةِ الْبَارِدَةِ أَوْ الْمَطِيرَةِ فِي السَّفَرِ.
নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রচন্ড এক শীতের রাতে ইবনু ‘উমার (রাযি.) যাজনান নামক স্থানে আযান দিলেন। অতঃপর তিনি ঘোষণা করলেনঃ তোমরা আবাস স্থলেই সালাত আদায় করে নাও। পরে তিনি আমাদের জানালেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়ায্যিনকে আযান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ বাসস্থলে সালাত আদায় কর।
(বুখারী ৬৩২.৬৬৬; মুসলিম ৬/৩, হাঃ ৬৯৭, আহমাদ ৪৫৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬০৪)
بَاب الرُّخْصَةِ فِي الْمَطَرِ وَالْعِلَّةِ أَنْ يُصَلِّيَ فِي رَحْلِهِ.
বৃষ্টি ও ওজরবশত নিজ আবাসস্থলে সলাত আদায়ের অনুমতি।
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَذَّنَ بِالصَّلاَةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ ثُمَّ قَالَ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ ذَاتُ بَرْدٍ وَمَطَرٍ يَقُولُ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ.
নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাযি.) একদা তীব্র শীত ও বাতাসের রাতে সালাতের আযান দিলেন। অতঃপর ঘোষণা করলেন, প্রত্যেকেই নিজ নিজ আবাসস্থলে সালাত আদায় করে নাও, অতঃপর তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রচন্ড শীত ও বৃষ্টির রাত হলে মুআয্যিনকে এ কথা বলার নির্দেশ দিতেন- ‘‘প্রত্যেকে নিজ নিজ আবাসস্থলে সালাত আদায় করে নাও।’’ (বুখারী শরীফ ৬৬৬.৬৩২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৩৩)
رحال শব্দটি رحل-এর বহুবচন যার অর্থ বাসস্থান ও আসবাবপত্র রাখার জায়গা। এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, ঠান্ডা, বৃষ্টি এবং প্রচন্ড বায়ু এগুলোর প্রত্যেকটিই জামা‘আত ত্যাগ করার জন্য ওযর। জমহূর ‘উলামাদের অভিমত এটিই।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
واختلف في کون الأمطار والثلوج والأوحال والبرد الشدید عذراً، وعن أبي حنیفۃؒ إن اشتد التأذی یعذر، قال الحسن: أفادت ہٰذہ الروایۃ أن الجمعۃ والجماعۃ في ذٰلک سواء، لیس علی ما ظنہ البعض أن ذٰلک عذر في الجماعۃ؛ لأنہا سنۃ لا في الجماعۃ؛ لأنہا من أکد الفرائض۔ (شامي ۲؍۲۹۲ زکریا)
সারমর্মঃ
বৃষ্টি,বরফ তুষার বর্ষণ,কঠিন বাতাস, ইত্যাদি ওযর হবে কিনা সেক্ষেত্রে ফুকাহায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
আবু হানিফা রহঃ এর মত হলো যদি এর দ্বারা অনেক কষ্ট পৌছে,তাহলে এটি ওযর হবে।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি কাছে ছাতা,রেইনকোট ইত্যাদি না থাকে,তাহলে শরীর ভিজে যাওয়ার মতো বৃষ্টিতেই ঘরে নামাজ পড়া যাবে।
আর যদি ছাতা ইত্যাদি থাকে,তাহলে প্রচন্ড বৃষ্টি যেটি ছাতাকেও হার মানায়,ছাতা থাকলেও শরীর ভিজে যায়,এমন বৃষ্টিতে ঘরে নামাজ পড়া বৈধ আছে।
,
তবে সর্বাবস্থায় কষ্ট করে মসজিদে গিয়ে জামা'আতের সাথে নামাজ আদায় করলে অনেক বেশি ছওয়াব পাওয়া যাবে।