আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
329 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (33 points)
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
হযরত,
১. আফিলিয়েট মারকেটিং করা যাবে কি? এখানে যা করা হয় তা হলোঃ মনে করেন "এ" একটি বড় কোম্পানি। তাদের অনেক পন্য রয়েছে। তারা আরেকটা কোম্পানি "বি" কে দায়িত্ব দিলো যেন তারা "এ" কোম্পানির কিছু পন্য বিক্রয় করিয়ে দেয়, বিনিময়ে "এ" কোম্পানি "বি" কোম্পানিকে প্রতিটি পন্যের উপর নির্দিষ্ট হারে(যেমনঃ ১০%) অর্থ পরিশোধ করবে। এইভাবে এখানে "বি" কোম্পানি আফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। এটি কি ইসলামে জায়েজ আছে?
২. এই কাজের জন্য যদি আমি গুগলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন(SEO) করে আমার পন্যের নাম সার্চের উপরে রাখার জন্য ব্যবস্থা করি তাহলে কি এটা আমার জন্য জায়েজ হবে? উল্লেখ্য যেঃ গুগল তার সার্চিং এর সুবিধাটি বিনামুল্যেই দিয়ে থাকে এবং তারা ইনকাম করে বিজ্ঞাপন থেকে। যেহুতু এটি এডসেন্স থেকে আসে না এটি আসে ads.google.com থেকে তাদের নিতি হলোঃ বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই ইনকাম হবে(সম্ভবত ক্লিক না করলে ইনকাম হবে না)। বিজ্ঞাপন গুলো আসে লিংক আকারে যেখানে কোন ছবি থাকে না এবং অইসব লিখাযুক্ত লিনকগুলাতে ক্লিক করলে মেয়েদের ছবি আস্তেও পারে আবার নাও পারে(এটির গ্যারান্টি নাই)। যেহুতু এইসব বিজ্ঞাপন পুরোপুরি শরিয়ত সম্মত নয় তাই গুগলের এই ইনকামটিও হালাল নয় বলেই জানি। কিন্তু আমাকে যদি সুধু তাদের অই লিংক যুক্ত বিজ্ঞাপন(যেখানে কোন ছবি নেই কিন্তু লিংকগুলোর আসল ঠিকানা মহিলার ছবি যুক্ত হতেও পারে আবার নাও পারে) দেখতে হয় তাহলে এইসব সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করা এবং SEO করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে নিজের ব্যাবসার কাজে ব্যাবহার করা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি কমিশন পদ্ধতি।
,
এ সংক্রান্ত শরীয়তের বিধান হলো যদি আগে থেকেই কমিশন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়,এবং অবৈধ কোনো কাজ যদি সেখানে না থাকে,তাহলে এ ব্যবসা জায়েজ আছে।
,
ইমাম মালিক রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭﺳﺌﻞ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻦ ﺃﺟﺮ ﺍﻟﺴﻤﺴﺎﺭ ﻓﻘﺎﻝ : ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﺬﻟﻚ 
ইমাম মালিক রাহ কে দালালী ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এতে কোনো সমস্যা নেই।(আল-মুদাওয়ানাতুল কুবরাঃ৩/৪৬৬)

ইমাম বোখারী রাহ বলেনঃ

" ﺑَﺎﺏ ﺃَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴَّﻤْﺴَﺮَﺓِ . ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ ﻭَﻋَﻄَﺎﺀٌ ﻭَﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑِﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴِّﻤْﺴَﺎﺭِ ﺑَﺄْﺳًﺎ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ : ﻻ ﺑَﺄْﺱَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ : ﺑِﻊْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ﻓَﻤَﺎ ﺯَﺍﺩَ ﻋَﻠَﻰ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ .
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ : ﺇِﺫَﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺑِﻌْﻪُ ﺑِﻜَﺬَﺍ ﻓَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﺭِﺑْﺢٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ ، ﺃَﻭْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻚَ ﻓَﻠَﺎ ﺑَﺄْﺱَ ﺑِﻪِ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺷُﺮُﻭﻃِﻬِﻢ)

তরজমাঃইবনে সিরীন, আত্বা,ইবরাহিম,হাসান, রাহ এর মত যুগশ্রেষ্ট ইমামগণ দালালী ব্যবসায় শরয়ী কোনো সমস্যা মনে করেন না।ইবনে আব্বাস রাহ,বলেনঃকোনো অসুবিধা নেই এরকম কোনো চুক্তিতে যে, কেউ কাউকে বলল,তুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর,এর(পুর্ব নির্ধারিত মূল্যর) চেয়ে বেশী যা লাভ হবে তা তোমার।ইবনে সিরীন রাহ বলেনঃযখন কেউ কাউকে বললঃতুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর, যা লাভ হবে অথবা এর চেয়ে বেশী যা লাভ হবে, তা তোমার অথবা তা আমার এবং তোমার মধ্যে বন্টিত হবে।এরকম চুক্তিতে কোনো সমস্যা নেই।নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-মুসলমানগন তাদের  কৃতচুক্তির আওতাধীন।অর্থাৎ শরীয়ত বিরোধী চুক্তি না হলে তা অবশ্যই পূরণীয় এবং পূরণ করতে হবে,এবং দালালীও একটি চুক্তি বিধায় তা বৈধ ও পূরণীয় ।(সহীহ বোখারী-৩/৯২, হাদীস নং ২২৭৪ এর শিরোনাম) 

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/44
,
(০২)
যদি সেই লিংক গুলোর উপর ক্লিক না করেন,তাহলে সেটি জায়েজ আছে।
,
যদি ক্লিক করেও ফেলেন,সেক্ষেত্রে কোনো নারীর ছবি বা বাদ্য-বাজনা না থাকলে সেক্ষেত্রেও জায়েজ।
অন্যথায় জায়েজ নয়।  

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...