জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ই'লাউস সুনান ১১/১৩১
أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।
শর্তগুলো হল,
১–
সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)
যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়।
তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।
( যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। )
অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
২–
স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।
পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)
সারমর্মঃ
উত্তেজিত হওয়ার সীমা হলো লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কলব তথা অন্তর কেঁপে উঠা, আগে থেকেই কেঁপে উঠে থাকলে স্পর্শ করার পর কাঁপা বেড়ে যাওয়া।
৩–
স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)
যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজনা থাকতে হবে।
৪–
স্পর্শ করার পর উদ্ভূত উত্তেজনা স্থীর হওয়ার পূর্বেই বীর্যপাত না হতে হবে। যদি উত্তেজনা হওয়ার সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলেও নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بشهوة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت(الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109
যার সারমর্ম হলো যদি যদি দেখা বা স্পর্শ করার দ্বারায় বির্যপাত হয়ে যায়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবেনা।
৫–
মহিলার বয়স ৯ বছর থেকে কম না হতে হবে। আর পুরুষের বয়স ১২ বছর থেকে কম না হতে হবে। {হুরমতে মুসাহারাত-১৯}
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
(০১)
হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হওয়ার জন্য যেকোনো একজনের মাঝে উত্তেজনা থাকা আবশ্যক।
যেটি সম্পর্কে উপরে ২ নং গদ এ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
,
(০২)
২ নং গদে উল্লেখিত পদ্ধতির উত্তেজনা আসলেই হুরমত প্রমাণিত হবে।
নতুবা নয়।
চাই সহবাসের ইচ্ছাতেই হোক বা না হোক।
,
(০৩)
না,এতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
,
(০৪)
এতে পুরোপুরি বিবাহ বিচ্ছেদ হবে।
কোনোভাবেই তাকে বিবাহও করতে পারবেনা।
,
এখানে কোনো ছুরতে নেই।
,
(০৫)
না,এতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
,
(০৬)
যেহেতু লিঙ্গ না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ধারনা প্রবল।তাই এক্ষেত্রে হুরমত সাব্যস্ত হবেনা।
,
(০৭)
যদি আসলেই হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়,তাহলে কোনো প্রকারের লজ্জা না করে স্পষ্ট আকারে জানিয়ে দিতে হবে।
নতুবা কোনো হক্কানী আলেমের মাধ্যমে বুঝাতে হবে।
নিজের বাবা মা যেনায় লিপ্ত হোক,এটা কোনো সন্তানই চায়না।
তাই এটি খুবই দ্রুত যেকোনো ভাবেই হোক জানাতে হবে।
,
(০৮)
পরিবারের যেকোনো সদস্যের স্পর্শ লাগলে তো হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
স্বামী হলে নিজের মেয়ে আর শাশুড়ী থেকে এহেন অবস্থায় হেফাজতে থাকতে হবে।
স্ত্রী হলে নিজের ছেলে আর শশুরের কাছ থেকে এহেন পরিস্থিতিতে হেফাজতে থাকতে হবে।
,
করনীয় হলো এহেন অবস্থায় যেনো আপনার শরীরের কোনো কাপড় ছাড়া খালি স্থানে স্পর্শ না করে।
নিজের মধ্যে পুরোপুরি কন্ট্রোল নিয়ে আসতে হবে,যাতে তাদের স্পর্শে নিজের মধ্যে উত্তেজনা না আসে।