আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,345 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
সালাতে ফাতিহার পর আরেকটি সূরা পড়ার সময় অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুন সূরা পড়তে যেয়ে ভুল হয়। মাঝে কোনো আয়াত ভুলে যাই বা, হয়তো আজিজুল হাকিম পড়তে যেয়ে আজিজুল গফুর পড়ে ফেলি। অনেকসময় 'ওয়া' বলতে ভুলে যাই। এরকম আরকি। এক্ষেত্রে, সালাতের ভেতরে বিষয়টা বুুঝতে পারলে কি সিজদাহ সাহু দিতে হবে? প্রশ্নের ওয়ার্ড লিমিট ৩০০ করার শর্তটা দয়া করে উঠিয়ে নিয়েন। এতবড় প্রশ্ন একজনের না--ই থাকতে পারে!

1 Answer

+1 vote
by (566,280 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রথমেই কিছু মাসয়ালা জেনে নেইঃ 
নামায ফাসিদ বা মাকরূহ হবে এমন কোন কাজ ইমাম যদি ভুলে করতে থাকে, তখন মুক্তাদী ইমামকে লুকমা দেয়া জরুরী।
আর যদি ভুলটি এমন না হয়,যা দ্বারা নামাজ ফাসিদ বা মাকরুহ হবেনা,তাহলে লুকমা দেওয়া জরুরি নয়। 

রাসূল সাঃ নামাযে ভুল করলে পিছনে থাকা সাহাবীগণ লুকমা দিয়েছেন। 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنَ اثْنَتَيْنِ، فَقَالَ لَهُ ذُو اليَدَيْنِ: أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ، أَمْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَصَدَقَ ذُو اليَدَيْنِ» فَقَالَ النَّاسُ: نَعَمْ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى اثْنَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ،

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা [চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। তখন যুল ইয়াদাইন রাঃ বলেলনঃ নামায কি কমে গেছে নাকি আপনি ভুলে গেছেন হে আল্লাহর রাসূল? তখন রাসূল সাঃ বললেনঃ যুল ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? তখন সাহাবাগণ বললেনঃ হ্যাঁ, তখন রাসূল সাঃ দাঁড়িয়ে বাকি দুই রাকাত পড়লেন।[বুখারী, হাদীস নং-৭১৪]

আরো জানুনঃ 

যদি ইমাম সাহেবের নামাজের মধ্যে আয়াত বাদ যায় বা ভুলে অন্য আয়াতে চলে যায়,তাহলে এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো যদি সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে আয়াত বাদ যায়,তাহলে সেই আয়াত পড়া যেহেতু জরুরি, তাই এক্ষেত্রে সেই আয়াত বাদ দিয়ে নামাজ শেষ করলে নামাজ সম্পূর্ণ হবেনা।
তাই মুক্তাদির লুকমা দিতেই হবে।
,
আর যদি অন্য কোনো সুরার ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে,তাহলে এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
আর যদি এমন ভুল ভাবে অক্ষর উচ্চারণ করে,বা এমন ভূল পড়ে,যার দ্বারা লাহনে জলি তথা অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,তাহলে নামাজই হবেনা।
,
পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
,
আরো জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
নামাজে ভূল হয়ে গেলে দেখতে হবে যে সেটি কোন ধরনের ভূল? 
যদি এর দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যাওয়ার মতো অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,তাহলে উক্ত ভুলটি নামাজের মধ্যেই সংশোধন না করা হলে উক্ত নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
এতে সেজদায়ে সাহু দিয়ে কাজ হবেনা।
নামাজই নষ্ট হয়ে যাবে।
,
আর যদি কিরাআতে যে ভূল হয়েছে,সেই ভূল হওয়ার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যাওয়ার মতো অর্থ পরিবর্তন না হয়ে থাকে,তাহলে তো নামাজ হয়ে যাবে।
সেজদায়ে সাহুর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
,
সুতরাং উভয় ছুরতেই সেজদায়ে সাহুর প্রয়োজনীয়তা নেই।
১ম ছুরতে নামাজি হবেনা।
২য় ছুরতে নামাজ হয়ে যাবে।
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ভূল গুলোর দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যাওয়ার মতো অর্থ পরিবর্তন হয়নি,তাই এই ছুরতে নামাজ হয়ে যাবে।
সেজদায়ে সাহুর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...