জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সাথে শরয়ী ওযর ব্যাতিত তিন দিনের বেশি কথাবার্তা বন্ধ রাখা, সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ নেই।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৬/২১৭)
এটা যদি তাদের সামনা সামনি না হওয়ার কারনে হয়,যে সামনা সামনি,দেখা সাক্ষাৎ যেহেতু আমাদের হচ্ছেনা,তাই কথা বলার সুযোগও হচ্ছেনা।
তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
তবে দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার পরেও বিনা কারনে কাহারো সাথে কথা বার্তা বলা বন্ধ করে দেওয়া,সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ নেই।
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করাও জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح
জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، يَلْتَقِيَانِ فَيُعْرِضُ هَذَا، وَيُعْرِضُ هَذَا، وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ
আবূ আইয়ূব আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিমের জন্য তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে (ঝগড়া করে) তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা বৈধ নয়। দু’ জন পথিমধ্যে মুখোমুখি হলে একজন এদিকে এবং অপরজন অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এ দু’ জনের মধ্যে যে প্রথমে সালাম দেয় সে-ই উত্তম।
(বুখারী, মুসলিম,আবু দাউদ ৪৯১১)
,
শেষের হাদীস দ্বারা এই বিষয় সুস্পষ্ট যে সামনা সামনি দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার পরেও যদি উভয়ে কথা না বলে,তাহলে গুনাহ হবে।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আত্মীয়দের সাথে কথা না বলাটা যদি কোনো ঝগড়া ইত্যাদির কারনে না হয়,বরং এটা যদি তাদের সামনা সামনি না হওয়ার কারনে হয়,যে সামনা সামনি,দেখা সাক্ষাৎ যেহেতু আমাদের হচ্ছেনা,তাই কথা বলার সুযোগও হচ্ছেনা।
তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
তবে দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার পরেও বিনা কারনে কাহারো সাথে কথা বার্তা বলা বন্ধ করে দেওয়া,সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ নেই।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
,
তবে মাহরাম আত্মীয় দের সাথে মাঝে ফোনে হলেও কথাবার্তা বলা দরকার।
,
(০২)
হ্যাঁ এই লক্ষ্য নিয়ে আপনি বিবাহ করতে পারেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ إِنِّي لأَمْشِي مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ بِمِنًى إِذْ لَقِيَهُ عُثْمَانُ فَاسْتَخْلاَهُ فَلَمَّا رَأَى عَبْدُ اللَّهِ أَنْ لَيْسَتْ لَهُ حَاجَةٌ قَالَ لِي تَعَالَ يَا عَلْقَمَةُ فَجِئْتُ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ أَلاَ نُزَوِّجُكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ بِجَارِيَةٍ بِكْرٍ لَعَلَّهُ يَرْجِعُ إِلَيْكَ مِنْ نَفْسِكَ مَا كُنْتَ تَعْهَدُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ
উসমান ইবন আবূ শায়বা ............ আলকামা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন মাসঊদ (রাঃ) এর সাথে মিনাতে গমণকালে উসমান (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত হলে তিনি তাঁর নিকট হতে দূরে সরে নির্জন আলাপের জন্য অনুমতি চান। অতঃপর যখন আবদুল্লাহ্ দেখতে পান যে, তাঁর (বিবাহের) কোন প্রয়োজন নেই, তিনি আমাকে বলেন হে আলকামা! আমার নিকট এসো! আমি তার নিকট এলে উসমান (রাঃ) তাকে বলেন, হে আবূ আবদুর রহমান! আমি তোমাকে একটি কুমারী নারীর সাথে বিবাহ দেব না? যাতে তুমি তোমার শারীরিক শক্তি সামর্থ ও বলবীর্য ফিরে পাও? আবদুল্লাহ্ বলেন, আমি তা এজন্য বলছি যে, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে যে বিবাহে সক্ষম, সে যেন অবশ্যই বিবাহ করে। কেননা তা দৃষ্টিকে সংবরণকারী এবং লজ্জাস্থানকে সংরক্ষণকারী।
সহীহ : বুখারী ৫০৬৬, মুসলিম ১৪০০, নাসায়ী ৩২১০, তিরমিযী ১০৮১, আহমাদ ৪০২৩, ইরওয়া ১৭৮১, সহীহ আল জামি‘ ৭৯৭৫।