আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম মুহতারাম,

মনে করুন আমি একটা ই-কমার্স সাইট থেকে অগ্রিম মূল্য দিয়ে  বাজারমূল্য থেকে কমদামে একটা "বাজাজ বাইক" নিলাম। যেটা তারা নির্দিষ্ট সময় পরে দিবে৷
নির্দিষ্ট সময় শেষে ঐ ই কমার্স কোম্পানি বলে দিলো যে আপনি "বাজাজ শোরুম" থেকে আপনার বাইকটি কালেক্ট করেনিন।
এখন আমি যদি ঐ বাইকটি না নিয়ে, সেটা "বাজাজ" এর কাছে  বিক্রি করে দিই, তাহলে এখানে আমার যে লাভ টা হলো সেটা কি হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1536 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মাজমা'উল আনহুর(২/১০৩) কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
(وَلَا) يَجُوزُ لِرَبِّ السَّلَمِ (شِرَاءُ شَيْءٍ مِنْ الْمُسْلَمِ إلَيْهِ بِرَأْسِ الْمَالِ بَعْدَ التَّقَابُلِ) فِي عَقْدِ السَّلَمِ الصَّحِيحِ بَعْدَ وُقُوعِهِ (قَبْلَ قَبْضِهِ) بِحُكْمِ الْإِقَالَةِ اسْتِحْسَانًا لِقَوْلِهِ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - «لَا تَأْخُذْ إلَّا سَلَمَك أَوْ رَأْسَ مَالِكِ» أَيْ لَا تَأْخُذْ إلَّا مَا أَسْلَمْتَ فِيهِ حَالَ قِيَامِ الْعَقْدِ أَوْ رَأْسَ مَالِكِ بَعْدَ الِانْفِسَاخِ فَتَرَكْنَا الْقِيَاسَ عَمَلًا بِهِ لِأَنَّ النَّبِيَّ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - جَعَلَ حَقَّ رَبِّ السَّلَمِ أَخْذَ الْمُسْلَمِ فِيهِ قَبْلَ الْإِقَالَةِ، وَأَخْذَ رَأْسِ الْمَالِ بَعْدَهَا، ثُمَّ لَا يَجُوزُ الِاسْتِبْدَالُ قَبْلَ الْإِقَالَةِ بِالْمُسْلَمِ فِيهِ لِئَلَّا يَصِيرَ قَابِضًا حَقَّ غَيْرِهِ فَكَذَا بَعْدَهَا بِرَأْسِ الْمَالِ.
সালাম আকদ অনুষ্টিত হওয়ার পর উক্ত সালামের হস্তান্তরিত মূল্য দ্বারা রাব্বুল মাল ভিন্ন কিছূ সেই ব্যক্তি থেকেও ক্রয় করতে পারবে না, যার সাথে সালাম অনুষ্টিত হয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, হয়তো তুমি তোমার সালাম আকদের মালকে ক্রয় করো অথবা মূল্যকে গ্রহণ করো। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথার অর্থ হল, সালাম আকদ বাকী থাকাবস্থায় তুমি ঐ পণ্য ব্যতিত অন্য কিছু গ্রহণ করতে পারবেনা। আর সালাম আকদকে বাতিল করা অবস্থায় তুমি মূল্যকে গ্রহণ করতে পারবে। সালাম আকদে উল্লেখিত পণ্য মূল্যকে বদলানো যাবে না। 

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
সুতরাং এভাবে ব্যবসা করা যাবে। এবং অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করা যাবে।এভাবে অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করলে  গ্রহণকারী সে মালের মালিক হয়ে যাবে।উক্ত গৃহীত মূল্য দ্বারা যদি কোনো অবৈধ কাজ করা হয়,তাহলে সেই অবৈধ কাজের দায়ভার সেই গ্রহীতা ব্যক্তিরই হবে।ক্রেতা বা মূল্যদান কারীর এতে কোনো গোনাহ হবে না।আল্লাহ ই ভালো জানেন। (শেষ) বিস্তারিত জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখানে বাজাজ শোরোম মানে আপনি ই কমার্স সাইটের উকিলের কাছ থেকে ক্রয় করছেন।আর আমরা পূর্বে বলেছি যে,যার সাথে সালাম ক্রয়-বিক্রয় করা হবে,তার কাছ থেকে ঐ পরিশোধিত মূল্য কিংবা পণ্য ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করা জায়েয নয়।আপনি উক্ত পণ্যকে কবজা বা হস্তগত করার পূর্বে মুসলাম ইলাইহি তথা যার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করা হয়েছে,তার নিকট বিক্রি করতে পারবেন না।হ্যা পূর্ণ কবজা করার পর বিক্রি করতে পারবেন।যেমন উক্ত মালে আপনার সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্টিত 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
...