আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in পবিত্রতা (Purity) by (33 points)
edited by

আমার বোনের ৮ মাসের ছেলে বাচ্ছছা আছে। 

প্রসাব করে যে ছোট ছোট খাতা নাপাক হয় ৫/৬ টি। তা সকালে উঠে ধুয়ে নেয়। 

এবং উঠানে তারে যখন মেলতে যাবে তখন একবার জুড়ে জেড়ে নেয়। ঠিক ওই সময়-ই আমি আমার বোনের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছিলাম।

আমার দাড়ি মুখ তখন  ভিজা ছিলো, দাড়ি থেকে পানিও টপকে পড়তেছিলাও।

প্রশ্ন হলো--

যখন আমার বোন নাপাকি ধোয়া কাপড় জেড়েছিলো ওই একদম ছোট ছোট ছিটা যা খালি চোখে দেখা যায় না,,ওই ছিটা গুলি আমার ভেজা দাড়িতে লাগলে তা নাপাক হবে কি?

(বি:দ্র: আমি নিশ্চিত নয় যে, বোন কাপড় গুলি কি ৩ বার-ই ধুয়েছিলো,, না ৩ বারের কম ২ বার বা ১ বার ধুয়েছে তা  নিশ্চিত নয় আমি, এবং বোন ও দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত নয়)

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ

অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড় যদি তিনবার ধৌতা করার পর এবং প্রত্যেকবার নিংড়ানোর পর যদি এই ছিটা আপনার দাড়িতে লাগে,তাহলে এতে আপনার  দাড়ি নাপাক হবেনা।
তবে যেহেতু উক্ত  বোন এই ভাবে সেটি তিনবার ধুয়েছে কিনা?
আপনিই নিশ্চিত নন,তাই এক্ষেত্রে আপনি আপনার দাড়িকে নাপাক ধরে সেটি ধৌত করে নিবেন। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، فِي حَدِيثِهِ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَبْرَيْنِ فَقَالَ " إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَبْرِئُ مِنْ بَوْلِهِ وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ " . ثُمَّ أَخَذَ جَرِيدَةً رَطْبَةً فَشَقَّهَا نِصْفَيْنِ ثُمَّ غَرَزَ فِي كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ صَنَعْتَ هَذَا فَقَالَ " لَعَلَّهُمَا أَنْ يُخَفَّفَ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا " .

হান্নাদ ইবনু সারী (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুইটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন যে, এই দুইজন ব্যক্তিকে আযাব দেওয়া হচ্ছে কোন বড় অপরাধের জন্য নয় বরং তাদের একজন নিজ পেশাব থেকে পবিত্র থাকত না আর অন্যজন চোগলখুরী করে বেড়াত। অতঃপর তিনি একটি তাজা খেজুরের ডাল নিয়ে তা দ্বিখণ্ডিত করে প্রত্যেক কবরে একটি করে গেড়ে দিলেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি এরূপ কেন করলেন? তখন তিনি বললেন, হয়ত এগুলো শুষ্ক না হওয়া পর্যন্ত এদের আযাব লাঘব করা হবে।
 সহীহ : বুখারী ২১৮, মুসলিম ২৯২।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...