বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)কাউকে যদি কোনো অহেতুক কাজ(Birthday,Valentine's Day,Games)এসবের জন্য ঋণ দেওয়া জায়েয হবে না।ঋণ দিলে গোনাহ হবে।
(২)যদি কেউ হারাম উপার্জন থেকে ঋণ পরিশোধ করে,তাহলে তা জায়েয হবে।
সুতরাং বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।তবে যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয।কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি বালেগ হন,এবং এবং আপনার উপার্জনের কোনো মাধ্যম না থাকে, তাহলে আপনি উক্ত হাদিয়া গ্রহণ করতে পারবেন।যেহেতু আপনার পিতা আপনার ভরণপোষণ করছেন,তাই আপনার জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ না করাই উত্তম।
(৪) সুদ দেওয়া ও নেওয়া উভয়ই কবিরা গোনাহ।
(৫)গিবত করা ও শোনা উভয়ই কবিরা গোনাহ।
(৬) মিথ্যা না বলার চেষ্টা করতে হবে।চুপ থাকতে হবে।একেবারে সম্ভব না হলে তাওরিয়াহ করতে হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5050(৮)জামাতের সময় চলে গেলে মসজিদে নামায না পড়ে বাসায় পড়া যাবে।তবে বিনা কারণে জামাত তরক করার দরুণ গোনাহ অবশ্যই হবে।