আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমি দীর্ঘসময় ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছি। আমার পরিবারের লোকজনকে অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি সমস্যাগুলো। কিন্তু  আমার বাবা-মা কোনদিনই বোঝেনি। আমার পড়াশোনায় সমস্যা হয়, প্রত্যেকটা কাজ করতে সমস্যা হয় - এগুলো দেখেও তারা বোঝেনা। উল্টো আমাকে দোষারোপ করে - আমি নাকি নিজে নিজে,  নিজের দোষে অসুস্থ হইছি। তাই তাদের আর কোন দায়িত্ব নাই। চিকিৎসার জন্য কোনদিন কোন টাকাপয়সা এরা দেয়নি, মানসিকভাবে জঘন্য  অত্যাচার করেছে। দিনের পর দিন নোংরা কথা শুনিয়েছে। চিকিৎসার কথা বলতে গেলে আমাকে মারতে এসেছে। চিকিৎসার কথা উঠলেই চিল্লাচিল্লি, মারামারি হয় বাসায়। এদেরকে দেখলে আমার ভয়াবহ রাগ হয়। খুন করতে ইচ্ছা করে। এরা আমাকে জোর করে কবিরাজের কাছে নিয়ে গেছে, যাওয়ার চেষ্টা করেছে। শিরকের তোয়াক্কা করেনা এরা।  এখনো স্টুডেন্ট, আমার তো নিজের সামর্থ্য নাই যে আমি চিকিৎসা করাব। আত্মীয়স্বজন কোন কাজের না।  আসলে শুধু চিকিৎসা না, প্রত্যেকটা ইস্যুতে আমার সাথে এদের লেগে যায়। আমার বাবা ভাব ধরে থাকে সে খুব ইসলাম বোঝে, বাস্তবে ভন্ড একটা। ইসলামিক বিয়ে, ক্যারিয়ার না করা, মাহরাম মেনে পর্দা করার মতো ব্যাপারগুলো নিয়ে নোংরা কথা বলে। আমার বাবা নামের লোকটাকে আমার প্রচন্ড ঘৃণা হয়। আমার মনে হয় এই লোক বা বাসার লোকজনের আমার বাঁচা মরায় কিছু যায় আসেনা। এরা আমাকে মেরে ফেলার আর বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে, সেটা জেনে হোক আর না জেনে। কোন কথা বলতে গেলে শুনতে চায়না কখনো। মানা নয়, শোনেই না। শুনলেও মানেনা।  ভালোভাবে বললেও পরে গালাগাল করে। কিছু একটা বলতে গেলে এমন আচরণ করে...যেন আমি কিছু বুঝিনা। আমার সাথে দ্বিমত হলে যাচ্ছে তাই বলে অপমান করে। এখন হয়তো বলবেন, এরকম হয়েই থাকে। কিন্তু এই সবকিছু আমার সহ্যের সীমার বাইরে চলে গেছে। মানসিকভাবে স্বাভাবিক থাকলে কি করতাম জানিনা,  এখন সহ্য করতে পারিনা।
আমি জানতে চাই এইরকম কেয়ারলেস ( যারা খারাপ সময়ে পাশে থাকে না)+ দায়িত্বজ্ঞানহীন + বদদ্বীন + নোংরা মানসিকতার পরিবার যাদেরকে আশেপাশে থাকলে আমি আরো অসুস্থ হয়ে যাই, অনিরাপদ বোধ করি...যাদের খুন করতে ইচ্ছা হয় ধরে ধরে, যারা প্রত্যেকটা ভালো কাজে আমার বিরোধিতা করে, যারা ঈমানের তোয়াক্কা করেনা... তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে আমার গুনাহ হবে কিনা। বা আমি এরকম সিচুয়েশনে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে আসলে কি করতে পারি।
ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে  

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

আরো জানুনঃ 

দারুল উলুম  দেওবন্দ এর 178050 নং ফতোয়াতে এসেছে যে কোনো মুসলমানের সাথে হিংসা ইত্যাদির কারনে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ নেই। 
তবে সে যদি দীনের লাইন থেকে দূরে সরে যায়,মদ খায়,জুয়া খেলে,যেনা করে,সুদ খায়।
বুঝানোর পরেও বুঝেনা,ইসলাম মানেনা।
,
তাহলে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ আছে। 
তবে  স্থায়ীভাবে নয়,সাময়িক ভাবে। 
(ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ৮/২৭০)
,
কাউকে দূরে সরিয়ে দেয়া বা কারো সাথে সম্পর্ককে ছিন্ন করার চেয়ে তাকে হেদায়তে নিয়ে আসা ও হেদায়তে নিয়ে আসার স্বার্থে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা অবশ্যই অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।

সুতরাং ধৈর্য্য ও হেকমতের সাথে আপনি আপনার পিতা,মাতাকে দ্বীনের রাস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করুন।এটাই আপনার জন্য কল্যাণকর হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরো জানুনঃ 
,
যদি তারপরেও কোনোভাবেই উপরোক্ত অবস্থা থেকে উত্তরন সম্ভব না হয়,তাহলে আপনি সাময়িক ভাবে দূরে থাকতে পারেন।
কথা কম বলতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...