হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা (পাঠ করে) কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সেই সূরাটি হল তাবারাকল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক।
হাসান, তা'লীকুর রাগীব ২/২২৩, মিশকাত ২১৫৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা রহঃ বলেন) হাদীসটি হাসান।
حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ، - تِرْمِذِيٌّ - حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ : (الم * تَنْزِيلُ ) وَ ( تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ ) .
হুরায়ম ইবন মিসআর (রহঃ) ...... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিফ-লাম-মীম তানযীল এবং তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক সূরা দু’টি না পড়ে ঘুমাতেন না।
সহীহ, সহীহাহ ৫৮৫, আর রওয ২২৭, মিশকাত তাহকিক ছানী ২১৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا خَالِدٍ عَامِرَ بْنَ جَشِيبٍ وَبَحِيرَ بْنَ سَعْدٍ يُحَدِّثَانِ أَنَّ خَالِدَ بْنَ مَعْدَانَ قَالَ إِنَّ الم تَنْزِيلُ تُجَادِلُ عَنْ صَاحِبِهَا فِي الْقَبْرِ تَقُولُ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ مِنْ كِتَابِكَ فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَإِنْ لَمْ أَكُنْ مِنْ كِتَابِكَ فَامْحُنِي عَنْهُ وَإِنَّهَا تَكُونُ كَالطَّيْرِ تَجْعَلُ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ فَيُشْفَعُ لَهُ فَتَمْنَعُهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَفِي تَبَارَكَ مِثْلَهُ فَكَانَ خَالِدٌ لَا يَبِيتُ حَتَّى يَقْرَأَ بِهِمَا
খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (“আলিফ লা-ম, মী-ম তানযীল”) [সুরাহ আস সাজদা: ১-২] তার পাঠকের জন্য কবরে বিতর্ক করবে। সে বলবে: হে আল্লাহ, আমি যদি আপনার কিতাবের অংশ হয়ে থাকি, তবে আপনি তার ব্যাপারে আমার শাফা’আত কবুল করুন। আর আমি যদি আপনার কিতাবের অংশ না হয়ে থাকি, তবে আপনি আপনার কিতাব থেকে আমাকে মুছে দিন। আর এটি তার উপর ডানাবিস্তারকারী পাখির মতো হবে। এরপর সে তার জন্য আল্লাহর নিকট শাফা’আত করবে। এভাবে সে তাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আর “তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক” (সুরাহ মুলক: ১) এর সম্পর্কে অনুরূপ (বর্ণনা করেছেন)। আর খালিদ ইবনু মা’দান এ দু’টি পাঠ না করে রাত্রি যাপন করতেন না।
(সুনানে দারেমী ৩৪৪৯)
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ যেহেতু ঘুমানোর আগে পড়তেন,আর তিনি ঈশার নামাজ পর ঘুমাতেন,তাই ঈশার পর পড়াই উত্তম সময়।