.. এসব থেকে আমার হতাশা তৈরি হয়ে গেছে। এ হতাশা থেকে নামাযে আগের মতো মনোযোগী হতে পারছি না, খালি অস্থিরতা কাজ করে।এ থেকে পরিএাণের উপায় কি?

Question

আমি দ্বীনের পথে আসার পর আল্লাহর রহমতে পরিপূর্ণ পর্দা করি এবং গায়রে মাহরাম মেনে চলি। আলহামদুলিল্লাহ। এখন বিয়ের বয়স হয়েছে, অনেক বিয়ে আসছে। কিন্তুু তাদের বেশির ভাগ এমন, যেখানে গেলে গায়রে মাহরাম মেনে চলতে পারা যাবে না কারণ পরিবারে ঐরকম পর্দার পরিবেশ করা নেই, এইজন্য অনেকগুলো বিয়েই আর আগায় না। দেখা যায় যে, পাএ পক্ষ ছবি চায়( অপরিচিত মানুষের কাছে আমার ছবি পাঠালে তা পর্দার খেলাফ হবে তাই আমি ছবি দেই না)। অনেকে তাই মাইন্ড করে। আবার অনেকে সরাসরি এসে আমি এভাবে পর্দা মেনে চলি দেখে বলে, " ইসলাম এতো কঠিন না, মানে বুঝাতে চাচ্ছিলো, আমি এভাবে পর্দা মেনে চলে কঠিন করে ফেলতেসি। এসব কারণে আর বিয়ে আগায় না। এজন্য এ কথাও শুনতে হয় যে "এভাবে হলে বসে থাক, বিয়ে করা লাগবে না,বিয়ে করবে না কেউ!"এসব বলে মানুষ জন। 
পাএ পক্ষ প্রথমে বলে তারা পরিপূর্ণ পর্দা মেনে চলে এমন  পাএীই খুজছে পরবর্তী তে কথা বলে দেখা যায় আমি যেমন পর্দা করি তেমন চা্চ্ছে না। এসব থেকে আমার হতাশা তৈরি হয়ে গেছে। এ হতাশা থেকে নামাযে আগের মতো মনোযোগী হতে পারছি না, খালি অস্থিরতা কাজ করে।এ থেকে পরিএাণের উপায় কি?
আর আসলে আমি যে পাএ পক্ষ কে ছবি চাওয়াতে ছবি দেই নাই তা কি ঠিক করেছি ? 
( প্রশ্নটা খুব বড় লেখে ফেলেছি মাফ করবেন আমাকে) 

Answer 1

আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে কিছুক্ষণ বিলম্ব হতে পারে।হ্যা কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্যই পেয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ ,

 

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-

ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। নিম্নে একটি ছকের মাধ্যমে এই শব্দগুলির অর্থ তুলে ধরা হল :

ক্রমিক নং শব্দ অর্থ

•         ১ اِسْتِفْتَاء (ইসতিফতা) কোনো বিষয়ে ফতোয়া প্রার্থনা করা, শরীয়তের বিধান জানার জন্য সমস্যা উত্থাপন করা, উত্থাপিত প্রশ্ন বা প্রশ্নপত্র

•         ২ مُسْتَفْتِي (মুস্তাফতী) প্রশ্নকারী

•         ৩ اِسْتَفْتَى (ইস্তাফতা) সে ফতোয়া প্রার্থনা করল, সে মাসআলা জিজ্ঞাসা করল

•         ৪ يَسْتَفْتِي (ইয়াস্তাফতী) সে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করছে, সে মাসআলা জানতে চায়। বহুবচনে يَسْتَفْتُوْنَ (ইয়াস্তাফতূনা), يستفتونك (ইয়াস্তাফতূনাকা) তারা আপনাকে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করে

•         ৫ أَفْتَى/أفتوا (আফতা) তিনি ফতোয়া দিলেন, শরীয়তের বিধান বর্ণনা করলেন, প্রশ্নের উত্তর দিলেন।

•         ৬ يُفْتِي/يفتيكم (ইউফ্তী) তিনি ফতোয়া দিচ্ছেন, শরীয়তের বিধান বর্ণনা করছেন।

•         ৭ إِفْتَاء (ইফ্তাউন) ফতোয়া প্রদান করা, শরীয়তের বিধান বর্ণনা করা।

•         ৮ مُفْتِي (মুফতী) ফতোয়া দানকারী ফকীহ/মাহির আলিমে দ্বীন

•         ৯ فَتْوَى/فُتيا (ফত্ওয়া) ইস্তিফতার উত্তরে শরীয়তের দলীলের আলোকে প্রদত্ত শরীয়তের বিধান/সমাধান। বহুবচনে ফাতাওয়া, ফাতাভী।

•         ১০ دَارُ الاِفْتَاء (দারুল ইফ্তা) যে প্রতিষ্ঠান থেকে ফতোয়া প্রদানের দায়িত্ব পালন করা হয়।