আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
1,195 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (5 points)
আসসালামু'আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
উস্তায বর্তমানে বাটা, আরং, ইফুড, ফুডপান্ডা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স শপ ও ক্লথিং শপ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিস্থান যেমন ইভ্যালি, দারাজ, পিকাবো ইত্যাদি প্রতিস্থানের মাধ্যমে গিফট কার্ড/ ভাউচার বিক্রয় করে। ধরা যাক বাটা ৫,০০০ টাকার একটা গিফট কার্ড/ভাউচার ২,৫০০ টাকায় বিক্রয় করছে যা দিয়ে ডেলিভারি পাবার পরে শপ থেকে ৫,০০০/- মূল্য এর প্রোডাক্ট ক্রয় করা যাবে। একই ভাবে ইফুড ও ফুডপান্ডাও এরকম গিফট ভাউচার বিক্রয় করে যা দিয়ে তাদের থেকে ফুড অর্ডার দেয়া যায়।তবে এই ধরনের কার্ড/ভাউচার বিক্রির সময় কিছু শর্ত থাকে যেমন-
১। অগ্রিম মূল্য প্রদান করতে হবে।
২। নির্দিষ্ট সময় পরে কার্ড এক্টিভ হবে।
৩। উক্ত কার্ড/ভাউচার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।
৪। উক্ত কার্ড/ভাউচার দিয়ে শপের ডিস্কাউন্টের কোন প্রোডাক্ট কেনা যাবে না, শুধু রেগুলার প্রাইসের প্রোডাক্ট কেনা যাবে। ইত্যাদি।   
এখানে এই কার্ড বা ভাউচারের উপরে বর্ণিত বিভিন্ন ধরনের লিমিটেশন থাকে যা ক্রয় এর পূর্বেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ক্রয় বিক্রয় এর এই নতুন সুরতটি শরীয়ত সম্মত কিনা?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/669 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)

নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
عن عامر، قال: سمعت النعمان بن بشير، يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "الحلال بين، والحرام بين، وبينهما مشبهات لا يعلمها كثير من الناس، فمن اتقى المشبهات استبرأ لدينه وعرضه، ومن وقع في الشبهات: كراع يرعى حول الحمى، يوشك أن يواقعه، ألا وإن لكل ملك حمى، ألا إن حمى الله في أرضه محارمه، ألا وإن في الجسد مضغة: إذا صلحت صلح الجسد كله، وإذا فسدت فسد الجسد كله، ألا وهي القلب "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে। 
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত ক্রয় বিক্রয়ের নতুন এ পদ্ধতি জুয়ার অন্তর্ভুক্ত । কেননা ঐ কার্ডকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ব্যবহার করতে হয়, ঐ সময় পার হয়ে গেলে এই কার্ডকে আর ব্যবহার করা যায়না। সুতরাং এরকম কার্ড ক্রয় বিক্রয় করা কখনো জায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
+1
I will wait for the anwer
by (5 points)
edited by
ওয়া আনতুম ফা জাযাকাল্লাহু খাইরা, 
উস্তায শায়েখ ত্বহা আবুল বাসির আমেরিকার একজন হানাফী স্কলার, ও ফাইনানশিয়াল ইন্সটিউট এর শরয়ী কনসালট্যান্ট। উনি এ ধরনের ক্রয় বিক্রয় ও পুনঃবিক্রয়কে বৈধ বলেছেন। আমি নিচে লিংকটা দিচ্ছি। কিন্তু যেহেতু উনার যোগ্যতা ও উনার সম্পর্কে আমার ভালো ধারনা নেই তাই আপনার নিকট থেকে ভালোভাবে জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।    
পুরো বিশ্বেই এই ধরনের পণ্য ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে কিন্তু ভালো কোন স্কলার থেকে পজিটিভ নেগেটভ কোন আলোচনা পাইনি। আবার এক স্থানে দেখেছিলাম শায়েখ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ হাফিঃ এটাকে বৈধ বলেছেন কিন্তু এই কার্ড/ভাউচার ব্যবহার না করে কার্ড/ভাউচারের মাধ্যমে পণ্য হস্তগত না করে পুনঃবিক্রয় নাজায়েজ বলেছেন। 
কিন্তু উনি এখানে যেই ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন সেখানে আমার কাছে কিছু এসেছে যার উত্তর সেখানে নেই যেমন এই ধরনের কার্ড/ভাউচার নিজেই একটি পণ্য যার কার্যকারিতা, সীমাবদ্ধতা, গুনাগুন উল্লেখিত। তাই কার্ড এর মাধ্যমে পণ্য হস্তগত হওয়ার প্রশ্ন কেন আসবে কারন আমি তো আমার কিনে রাখা কার্ড বা ভাউচার সেল করছি সেক্ষেত্রে এই কার্ড বা ভাউচার নিজেই তো একটি পণ্য। 
উস্তায আশা করছি আপনার উত্তরে যদি এটা বৈধ হয়ে থাকে সেখানে কার্ড বা ভাউচার হস্তগত হওয়ার পরে পুনঃবিক্রয় সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরও নিয়ে আসবেন। জাযাকাল্লাহু খাইরা। 

by (597,330 points)
যেহেতু বিষয়টা নতুন তাই আমরা এ বিষয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করে উত্তর প্রদানের জন্য কিছুটা নিবো। সুতরাং অপেক্ষা করুন। এ বিষয়ে আর নতুন করে প্রশ্ন করবেন না। 
by (13 points)
ইনশাআল্লাহ। অপেক্ষায় থাকব। আশা করি ভুলে যাবেন না।
by (7 points)
উত্তর টি কি.?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...