আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
330 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম

দারাজের (বাংলাদেশের অনলাইন শপিং মল) গেম খেললে ভাউচার দেওয়া হয় যেটা ইউজ করলে কিছু টাকা ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। এটা কি হালাল? যেমন কোনো কিছুর দাম ২০০ টাকা, কিন্তু গেম খেলার ফলে যে ভাউচার টা পাবো তার জন্য সেই জিনিস টা ১৫০ টাকার অর্থাৎ ৫০ টাকা ডিসকাউন্ট এ কেনা যাবে। এই ৫০ টাকা ডিসকাউন্ট টা কি হালাল? যদি হালাল না হয় তাহলে কি করতে হবে।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


আমরা আগের ফতোয়াতে উল্লেখ করেছি যে  প্রশ্নে উল্লেখিত গেম খেলা,টাকা ডিসকাউন্ট পাওয়া কোনোটাই জায়েজ নেই।
,
এসব গেম এর মাঝে অনেক হারাম জিনিস জড়িত।
বর্তমান স্মার্টফোন,কম্পিউটারের বেশিরভাগ গেমসে আছে প্রাণীর ছবি। এছাড়াও অনেক সময় এই গেমসগুলোতে আরো অনেক মন্দ ও গোনাহর বিষয় যুক্ত থাকে। 
যেমন, ১. মিউজিক, গান, বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র।
 ২. বেপর্দা নারীদের নগ্ন ও অশ্লীল ছবি। 
৩. কাফেরদেরকে সম্মান করা, তাদের নষ্ট সংস্কৃতিকে প্রচার করে মুসলিম শিশু-কিশোর ও যুবসমাজকে ধ্বংস করা। 
৪.কাফেরদের ধর্মীয় শিরকি-কুফুরী বিশ্বাস ও কাফেরদের চিহ্নকে কৌশলে মুসলিমদের মাঝে প্রচার করাসহ আরো বহু মন্দ-বিষয় এসব গেমসে থাকে। সর্বোপরি মোবাইলে গেমস খেলা মানে নিজের অমূল্য সম্পদ সময়কে অপচয় করা এবং অল্প থেকে ধীরে ধীরে এটা নেশায় পরিণত হওয়া।  

সুতরাং একজন মুসলিম হিসাবে এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আবু হুরাইরা রাযি. বলেন , রাসূল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ,  من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيه একজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল যে, তার জন্য জরুরী নয় এমন কাজ সে ত্যাগ করে। (জামে তিরমিযী ২২৩৯)
,
★সুতরাং এমন খেলার অনুমোদন শরীয়তে নেই।
এবং অর্জিত টাকা ব্যবহারও জায়েয হবে না।বরং সদকাহ করে দিতে হবে।
গেম খেলার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা জায়েজ নয়।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এখনই এহেন গেম খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উক্ত গেম খেলা,এবং এথেকে টাকা ডিসকাউন্ট পাওয়া কোনোটাই জায়েজ নেই। 
,
বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...