আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,068 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ, শায়েখ আমি জানতে চাচ্ছিলাম অনলাইন মার্কেট প্লেস থেকে ডবল টাকা ভাউচার দ্বারা কেনাকাটা হালাল কিনা। আমার নিজের উদাহরণ দেই। আমি ২০১৯ সালে ইভ্যালি থেকে দশ হাজার টাকা দিয়ে ২০ হাজার টাকা সমমূল্যের গিফটকার্ড কিনি যা কয়েক মাস(সঠিক খেয়াল নেই) পর কার্যকর হয় এবং সেটা গিফটকার্ড ব্যালেন্সরুপে ইভ্যালি একাউন্টে জমা হয়। এরপর আমি সেই একাউন্টের টাকা ব্যবহার করে আবার ডিসকাউন্টে ইভ্যালি থেকেই দুইটা ফোন আর একটা র‍্যাক কিনি। (ফোনের বাজার মূল্যের উপর ইভ্যালি অর্ধেক ছাড় দিয়েছিলো ফলে অনেক সস্তায় ফোন দুটো কেনা হয়)। সেই ফোন দুইটা বিক্রি করে পাওয়া নগদ অর্থ দিয়ে আরেকটা ফোন বাইরের একজনের কাছ থেকে ক্রয় করি। এমতাবস্থায় আমার কেনাকাটা হারাম হয়েছি কি? আর যদি হারাম হয় তাহলে আমার করণীয় কী এখন? দয়া করে জানাবেন। (প্রসঙ্গত গিফটকার্ড ক্রয়ের সময় বা লেনদেনের পুরো বিষয়টাতে লুকোনো কিছু ছিলো না যতদুর মনে পড়ে। ইভ্যালি কোন মডেলের ফোনের উপর ডিসকাউন্ট দিবে সেটা জানা ছিলো না কিন্তু যেকোনো ফোনের উপর ডিসকাউন্ট দিবে সেটা জানতাম।)

জাজাকাল্লাহ খাইরান
by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, এখানে পাওয়া ফতোয়া আর https://ifatwa.info/15491?state=comment-15547&show=15547#c15547 এই লিংকে পাওয়া ফতোয়া দুইটা আলাদা হয়ে গেছে। মেহেরবানি করে করণীয় জানালে উপকৃত হতাম। 
জাজাকাল্লাহ খাইরান 
by (7 points)
anonymous apni je link diyechen oikhane ponnor kotha bola hy nai..othocho voucher e nirdisto ponno ullekh thake....

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রথমেই জানা প্রয়োজন সূদ (রিবা) কি? সূদ (রিবা) কাকে বলে? আরবী ‘রিবা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল বৃদ্ধি, অতিরিক্ত, প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে, ইসলামে সব ধরনের বৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধিকে হারাম বা নিষিদ্ধ গণ্য করা হয়েছে। 

শরী’আতে রিবা বলতে ঐ অর্থকে বোঝায়, যা ঋণের শর্ত হিসাবে মেয়াদ শেষে ঋণগ্রহীতা মূল অর্থসহ অতিরিক্ত অর্থ ঋণদাতাকে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়।

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহঃ বলেন, জাহেলী যুগে আরববাসী সকলেরই রিবা সম্বন্ধে জানা ছিল এবং তাদের মধ্যে এটি বহুল প্রচলিতও ছিল। সে যুগেও তারা প্রথাসিদ্ধভাবে ঋণ দিত এবং শর্ত অনুসারে তার উপর মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করত, কিন্তু আসলের পরিমাণ থাকত অপরিবর্তিত। যখন ঋণের মেয়াদ শেষ হ’ত এবং ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হ’ত তখন সূদ বাড়িয়ে দেওয়ার শর্তে পরিশোধের সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হ’ত {তাফসীরুল কাবীর}।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
সূদ বলা হয় টাকার বিনিময়ে টাকা,চালের বিনিময়ে চাল,রুপার বিনিময়ে রুপা কমবেশি হলেই সূদ।
,
যদি টাকার বিনিময়ে টাকা না হয়ে পন্য হয়,তাহলে সেটি সুদ হবেনা।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু তারা ডবল টাকার ভাউচার দিবে,কেনাকাটার জন্য,এখানে তারা পন্য দিচ্ছে,সরাসরি টাকা নয়,তাই এটা সূদ হবেনা। 
,
তবে যদি আপনি টাকা নেন,তাহলে সূদ হবে।

ইভ্যালি থেকে পন্য ক্রয় সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

★তবে নির্দিষ্ট সময়ের সময়ের মধ্যে উক্ত ভাউচার দ্বারা কেনাকাটা করা যায়,মেয়াদ পার হয়ে গেলে সেটি দ্বারা আর কেনাকাটা করা য্যায়না,এমনটি হলে সেটি জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিধায় তাহা নাজায়েজ হবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করেননি। তা হলো ভাউচার এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ওই ভাউচার দ্বারা কোন পণ্য পাওয়া যায়না উদাহরণস্বরূপ যদি তিন মাসের মধ্যে উনি হচ্ছেন তারা কেনাকাটা করেন সেক্ষেত্রে এক টাকার পাবেন না।

দয়া করে এই ফতোয়া টি দেখবেন
by (679,640 points)
জাযাকাল্লাহ, সংযোজন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...