আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
430 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,

আমার বাবা আমাদের অনেক ছোট বেলাতে মারা জান। আমরা দুই ভাই বোন আর আমার মা নিয়ে আমাদের সংসার ছিল। আমার মা গৃহিণী ছিলেন আর বাবা মারা যাবার পর থেকেই চিন্তায়ে আমার মা ওসুস্থ হয়ে যেত বার বার। আমার বাবা অফিস থেকে কয়েক লাখ টাকা পেয়ছিলেন যা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনে রেখতেন আর এটা দিয়ে interest আসলে সুংসারে খরচ করতেন। পাশাপাশি আমাদের একটা জমিতে কয়েকটা দোকান থেকে ভাড়া আসতো। মূলত এই দুই source থেকে যা পেতো তা দিএ সংসার চালাত।
আবার আমার মা এর নিসাব পরিমান gold ছিল। আম্মা র পক্ষে সঞ্চয়পত্র এর টাকার আর gold এর যাকাত দেয়া সম্ভব হইনি যেহেতু আমাদের খরচ চালাতে কষ্ট হএ যেত।

আমার মা বিধবা আর পরিস্থিতির শিকার হহয়ে যা করেছে ইসলামের দিক দিএ সমাধান কি হবে?  আমার মা এখন কান্সার patient.চিকিৎসা তে অনেক খরচ আর সংসার এ এখনো টানাটানি আছে। আমি বিবাহিত আর চাকরি করি, মা কেও হেল্প করি।

এখন আমি খুব অনুতপ্ত আর ভীত হয়ে যাচ্ছি -

এক) আমার মা সুদ নিয়েছে, এখন অনুতপ্ত, কি করবে সে?

দুই) আমার মা যাকাত আদাএ করেনি। তার কত যাকাত দেয়া হইনি সেটা নির্ণয় করাও আমার পক্ষে সম্ভব না এখন। কি করনিও এখন?

তিন) সন্তান হিসেবে আমার দায়িত্ব কি এই অবস্থায়ে?

চার) যার নিসাব পরিমান সম্পদ থাকবে কিন্তু সে যাকাত আদাএ করতে পারছে না, এখত্রে কি নিসাব এর অতিরিক্ত সম্পদ বিক্রি করে দিতে হয় যাতে যাকাত না আসে?

যাঝাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
(وتصرف الصبي والمعتوه) الذي يعقل البيع والشراء (إن كان نافعا) محضا (كالإسلام والاتهاب صح بلا إذن وإن ضارا كالطلاق والعتاق) والصدقة والقرض (لا وإن أذن به وليهما وما تردد) من العقود (بين نفع وضرر كالبيع والشراء توقف على الإذن)
নাবালক বাচ্ছাদের ফায়দা জনক তাসার্রুফ তথা লেনদেন ও কর্মসম্পাদন অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত ও বৈধ।যেমন ইসলাম গ্রহণ ইত্যাদি।তবে ক্ষতিকারক কোনো কর্মসম্পাদন হলে অভিভাবকের অনুমতি দেয়ার পরও বৈধ হবে না।যেমন,তালাক দেয়া, গোলাম আযাদ করা,যাকাত দেয়া,ঋণ দেয়া ইত্যাদি লেনদেন।আর যে সকল বিষয়ে লাভক্ষতি উভয়ের সম্ভাবনা থাকবে,সে সকল বিষয়ে অভিভাবকের অনুমতির উপর নির্ভরশীল থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে শামী-৬/১৭৩)

সুতরাং নাবালক বাচ্ছাদের উপর যাকাত আসবে না।সুতরাং আপনার বাবার রেখে যাওয়া পূর্ণ সম্পত্তির ৮ভাগের সাত আপনারা দুই ভাই বোনের হওয়ার দরুণ এই সম্পত্তিতে আপনাদের বালিগ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যাকাত আসবে না।অন্যদিকে আপনার মায়ের হিস্সা তথা পূর্ণ সম্পত্তির ৮ভাগের এক ভাগের মালিক যেহেতু তিনি,তাই উনার অন্য সম্পত্তির সাথে মিলে যদি সব যাকাতের নেসাব পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে তাতে যাকাত আসবে।

সুদ স্পষ্টত হারাম।এজন্য আপনার আম্মুকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।যেহেতু তিনি অপারগ অবস্থায় নাবালক সন্তানদেরকে লালন-পালনের জন্য সুদ নিয়েছেন,হয়তো আল্লাহ অন্যদের তুলনায় দ্রুতই ক্ষমা করে দিবেন।আর্থিক সচ্ছলতা থাকলে যতটাকা সুদ হিসেবে আপনাদের লালন-পালনে ব্যায় করা হয়েছে,ততটাকা আপনারা সদকাহ করে দিবেন।

যদি কারো নিকট স্বর্ণ বা টাকা এ পরিমাণ থাকে যে,তার উপর যাকাত ফরয হয়।অন্যদিকে সে খুবই প্রয়োজনগ্রস্থ থাকে,তাহলে সে ঐ স্বর্ণ বা টাকাকে নেসাব থেকে কম পরিমাণ রেখে দিবে।এবং ঐ টাকা দ্বারা স্বাবর সম্পত্তি ক্রয় করে নিবে।তখন আর তার উপর যাকাত আসবে না।

সুতরাং আপনারা নেসাবের অতিরিক্ত সম্পদকে ক্রয় করে দিতে পারবেন।যাতেকরে যাকাত না আসে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
ছেলেমেয়ে এর বালিগ কত বছর থেকে ধরতে হবে? ১১-১৩ বছর এর মধ্যে হলেও তো আমরা তখনও আয়ে করার মত হইনি।
by (590,550 points)
বালেগ হওয়ার পর আয় করা শর্ত নয়।বরং আয় করার যোগ্যতা সৃষ্টি হয়ে যায়,তখন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...