বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
(وتصرف الصبي والمعتوه) الذي يعقل البيع والشراء (إن كان نافعا) محضا (كالإسلام والاتهاب صح بلا إذن وإن ضارا كالطلاق والعتاق) والصدقة والقرض (لا وإن أذن به وليهما وما تردد) من العقود (بين نفع وضرر كالبيع والشراء توقف على الإذن)
নাবালক বাচ্ছাদের ফায়দা জনক তাসার্রুফ তথা লেনদেন ও কর্মসম্পাদন অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত ও বৈধ।যেমন ইসলাম গ্রহণ ইত্যাদি।তবে ক্ষতিকারক কোনো কর্মসম্পাদন হলে অভিভাবকের অনুমতি দেয়ার পরও বৈধ হবে না।যেমন,তালাক দেয়া, গোলাম আযাদ করা,যাকাত দেয়া,ঋণ দেয়া ইত্যাদি লেনদেন।আর যে সকল বিষয়ে লাভক্ষতি উভয়ের সম্ভাবনা থাকবে,সে সকল বিষয়ে অভিভাবকের অনুমতির উপর নির্ভরশীল থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে শামী-৬/১৭৩)
সুতরাং নাবালক বাচ্ছাদের উপর যাকাত আসবে না।সুতরাং আপনার বাবার রেখে যাওয়া পূর্ণ সম্পত্তির ৮ভাগের সাত আপনারা দুই ভাই বোনের হওয়ার দরুণ এই সম্পত্তিতে আপনাদের বালিগ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যাকাত আসবে না।অন্যদিকে আপনার মায়ের হিস্সা তথা পূর্ণ সম্পত্তির ৮ভাগের এক ভাগের মালিক যেহেতু তিনি,তাই উনার অন্য সম্পত্তির সাথে মিলে যদি সব যাকাতের নেসাব পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে তাতে যাকাত আসবে।
সুদ স্পষ্টত হারাম।এজন্য আপনার আম্মুকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।যেহেতু তিনি অপারগ অবস্থায় নাবালক সন্তানদেরকে লালন-পালনের জন্য সুদ নিয়েছেন,হয়তো আল্লাহ অন্যদের তুলনায় দ্রুতই ক্ষমা করে দিবেন।আর্থিক সচ্ছলতা থাকলে যতটাকা সুদ হিসেবে আপনাদের লালন-পালনে ব্যায় করা হয়েছে,ততটাকা আপনারা সদকাহ করে দিবেন।
যদি কারো নিকট স্বর্ণ বা টাকা এ পরিমাণ থাকে যে,তার উপর যাকাত ফরয হয়।অন্যদিকে সে খুবই প্রয়োজনগ্রস্থ থাকে,তাহলে সে ঐ স্বর্ণ বা টাকাকে নেসাব থেকে কম পরিমাণ রেখে দিবে।এবং ঐ টাকা দ্বারা স্বাবর সম্পত্তি ক্রয় করে নিবে।তখন আর তার উপর যাকাত আসবে না।
সুতরাং আপনারা নেসাবের অতিরিক্ত সম্পদকে ক্রয় করে দিতে পারবেন।যাতেকরে যাকাত না আসে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.