ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়ার কথা হাদীসে এসেছে,যেমন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবীজী সাঃ কে প্রশ্ন করল,ইসলামের মধ্যে কোন কাজ সর্বোত্তম?
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺃﻥ ﺭﺟﻼ ﺳﺄﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻱ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺧﻴﺮ ﻗﺎﻝ ﺗﻄﻌﻢ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻭﺗﻘﺮﺃ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻋﺮﻓﺖ ﻭﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻟﻢ ﺗﻌﺮﻑ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﺍﻻﺳﺘﺌﺬﺍﻥ » ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻟﻠﻤﻌﺮﻓﺔ ﻭﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻌﺮﻓﺔ
নবীজী সাঃ প্রতিউত্তরে বললেনঃপরিচিত অপরিচিত সবাইকে খাদ্য খাওয়ানো এবং (মুসলিম মনে হলে) সালাম প্রদান করা।(সহীহ বুখারী-৫৮৮২)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
সালাম প্রদানের জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সালাম দেয়া সুন্নাত।তাই আমারা পরিচিত/অপরিচিত সবাইকে সালাম দিবো।জবাব কার উপর ওয়াজিব হচ্ছে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়।বরং সালাম দেয়াটা যে সুন্নাত সেটাই বিবেচ্য।
উত্তর দেয়া ওয়াজিব সেটা শরীয়তের পক্ষ থেকে সালামপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর আপতিত হয়েছে।এখানে আমার কোনো হস্তক্ষেপ নেই।সালাম দেয়ার কথা শরীয়ত আমাকে বলেছে,তাই আমি সালাম দিয়েছি। আমি সেই দায়িত্ব সুন্নাতকে পালন করেছি।জবাব দেয়ার কথা শরীয়ত তাকে বলেছে, সে তার দায়িত্বকে অন্যান্য দায়িত্বরের মত পালন করবে।
যেমনঃমুওয়াজ্জিন আযান দিলে ফে'লী তথা মসজিদে যাতায়াতের মাধ্যমে জবাব প্রদান করা ওয়াজিব হয়ে থাকে।এখানে এ কথা বলা যাবে না যে, মুওয়াজ্জিন কেন আযান দিয়েছে? যদি সে আযান না দিতো তাহলে আমার উপর নামায ফরয হতে না বা মসজিদে যাওয়া ওয়াজিব হতে না।মুওয়াজ্জিন সে তার দায়িত্ব পালন করেছে। মুসাল্লি সে তার দায়িত্ব পালন করবে।উভয়ের দায়িত্ব আলাদা আলাদা।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
إلقاء السلام على من يظن أنه لا يرد السلام:
٢٦ - قال النووي: إذا مر على واحد أو أكثر وغلب على ظنه أنه إذا سلم لا يرد عليه، إما لتكبر الممرور عليه وإما لإهماله المار أو السلام، وإما لغير ذلك، فينبغي أن يسلم ولا يتركه لهذا الظن، فإن السلام مأمور به، والذي أمر به المار أن يسلم ولم يؤمر بأن يحصل الرد، مع أن الممرور عليه قد يخطئ الظن فيه ويرد.
ইমাম নববী রাহ বলেনঃযদি কেউ এমন কারো পাশ দিয়ে অতিক্রম করে,যার ব্যপারে ধারণা করা হয় যে, সে অহংকার বশত বা অতিক্রমকারীকে কিংবা সালামকে তুচ্ছ মনে করা সহ বিবিধ কারণে সালামের জবাব প্রদান করে না বা করবে না।এমতাবস্থায় অতিক্রমকারীদের উচিৎ উক্ত ধারণার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে সালাম প্রদান করা।কেননা তাকে সালাম প্রদানের আদেশ করা হয়েছে।সালামের জবাব গ্রহণের আদেশ করা হয় হয়নি।অথচ এমন তো হতে পারে যে অতিক্রান্তব্যক্তি অতিক্রমকারী(সালাম প্রদানকারী)এর ধারণাকে পাল্টিয়ে দিয়ে সে এখন সালামের জবাব প্রদান করেছে।
সালাম দেওয়ার পর সময় সুযোগ থাকলে কৌশল বিনিময় করাও সুন্নতের আওতাধীন।
(২)
'হোসাইনিয়া' বলতে হুসাইন নামের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়। কোনো চেয়ারে 'হোসাইনিয়া' লিখা থাকলে সেই লিখার উপর না বসাই উত্তম। তবে যেহেতু এটা নির্দিষ্ট নয় যে, এখানে 'হোসাইনিয়া' দ্বারা হুসাইন রাযিকেই উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। তাই বসা জায়েয হবে।
(৩)নবীজি (সাঃ) এর শরীর মোবারকের প্রত্যেক অঙ্গের সাথে মোবারাক সংযোগ করা উত্তম বা মুস্তাহাব।